সোমবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল তৃণমূল ছাত্র-যুবদের। এদিন দুপুর ২ঃ৩০ নাগাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন তারপর বক্তব্য রাখবেন সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীর ঘোষণা মত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বক্তব্য রাখার জন্য বলা হয়। কিন্তু তার অনেক আগেই মঞ্চ ছেড়ে চলে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে সঙ্গীরাও অবশ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সভাস্থল ছাড়েন। আর নেত্রীর এই নির্দেশকে একপ্রকার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সভাস্থল ছাড়লেন তিনি। আর যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা।
সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যখন মঞ্চে বক্তব্য রাখার জন্য বলা হয় সেই সময় নাকি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দর্শক আসনে মেরেকেটে ১৫০ জনের মত সদস্য বসেছিলেন ! তারপর গ্যালারি পুরো ফাঁকা। সামনে হাতেগোনা কয়েকজন দর্শক তখন বসে ছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বহরমপুর থেকে ফেরার পথে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গুরুতরভাবে জখম হয়েছিলেন তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরাও। এদিন সভায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনার পর অপারেশন হয়েছে। এদিন কালো চশমায় চোখ ঢেকে অনুষ্ঠানে অভিষেক। মমতা ব্যানার্জি অবশ্য জানিয়েছিলেন পরপর তার অপারেশন হয়েছে। চোখে সমস্যা রয়েছে। তাই সে বাড়িতে বসেই দলীয় কর্মসূচি করবে। বাড়িতে বসেই ছাত্র-যুবকদের কর্মসূচির নির্দেশ দেবে। অনেকে বলছেন সমস্ত কিছুই গুঞ্জন একপ্রকার। দলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েই নাকি সভাস্থল ছেড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছাত্র-যুবদের সমাবেশ থেকে হঠাৎই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চলে যাওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।