দশহারায় কোনওরকমে এবার কালনা ফেরিঘাট সংলগ্ন পালপাড়ায় গঙ্গাপুজো হল। করোনা থেকে মুক্তি পেতে দেবীর কাছে বিশেষ পুজোপাঠও হয়। তবে, কালনার প্রাচীন পাথুরিয়া মহলের ওড়িয়া সম্প্রদায়ের গঙ্গাপুজো এবার বন্ধ ছিল।
কালনা ফেরিঘাট সংলগ্ন ভাগীরথী নদীর পারে পালপাড়া এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাদের ধান চালের ব্যবসা রয়েছে। ভাগীরথী নদী পার হয়ে শান্তিপুরের নৃসিংহপুরে চালের আড়তে প্রতিদিন নৌকা করে চাল নিয়ে যান সকলে। নদীপথে যাতায়াতে রয়েছে ঝুঁকি। নিরাপদ পারাপারের জন্য গঙ্গাদেবীকে তুষ্ট করতে প্রায় ৪০বছর ধরে গঙ্গাপুজো করছেন এলাকার ধান চালের কারবারিরা। এবার পুজো হলেও ছিল না কোনও আড়ম্বর। এই পুজো প্রতিবার ধুমধাম করে হয়। এবার জৌলুস ছাড়াই পুজো হয়েছে। কিন্তু করোনার মুক্তিলাভে ও নদীপথে সুরক্ষার কামনায় দেবীর প্রতিমা এনে নিয়মরক্ষার পুজো হয়েছে।
অন্যদিকে, মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে সোমবার মনসা পুজোয় মেতে উঠল সমুদ্রগড়বাসী। এদিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজো দেন ভক্তরা। জানা গিয়েছে, নসরৎপুর পঞ্চায়েতের হাটসিমলা মনসাতলায় ৩৫ বছর আগে এই বারোয়ারি পুজোর সূচনা হয়। উদ্যোক্তরা জানান, আগে গ্রামে প্রায়ই সাপে কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটত। সাপের কামড়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সময় এলাকার মানুষ মনসা পুজো শুরু করেন। প্রচুর মানুষ এই পুজো দেখতে আসায় মেলা বসত। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাউল গানের আসর জমে উঠত। কিন্তু এবার তা পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। তবে করোনার সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভক্তরা পুজো দিয়েছেন। মুখে মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়েছিল।