রাজ্য

দিদিকে বলো চলবেই, এবার পিকের নজর অবাঙালি, আদিবাসী ও যুব ভোটব্যাঙ্ক

লোকসভায় এ রাজ্যে তৃণমূলের ভরাডুবির পর বর্তমানে হিট পিকের ফর্মুলা অনুযায়ী দিদিকে বলো কর্মসূচি। তাই বাংলায় এখন দিদিকে বল কর্মসূচি বন্ধের কোনও প্রশ্নই নেই বলে পিকে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলকে। পাশাপাশি বাংলায় বিজেপির অগ্রগতি থামিয়ে তাদেরকে ব্যাকফুটে ঢেলে দেওয়ার প্রয়াস শুরু হয়েছে। পিকে পরামর্শ মতো সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন দিদিকে বলো এখন থামানো যাবে না।

কারণ এর মাধ্যমে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দূর করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার। এর পাশাপাশি সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে বিজেপিকে থামাতে।  এবার টিম পিকের প্রেসক্রিপশন হল, তিনটি ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে। তা হল অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ক ও আদিবাসী -দলিত সম্প্রদায় এবং যুবসমাজে সন্তুষ্ট করেই এরাজ্যে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে গেরুয়া শিবির। তাদের সেই স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করতে পিকের ফর্মুলা লোকের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছতে হবে। বিজেপি যাতে অবাঙালি, যুব ও আদিবাসীদের সমর্থন না পায়, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। তৃণমূলের হিসেবে দিদিকে বল কর্মসূচিতে প্রতিদিন ১০ হাজার ফোন আসছে।

এখনো পর্যন্ত ফোন কলের সংখ্যা ৩০লক্ষ ছাপিয়ে গেছে। এদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে সমস্যা দূর করার চেষ্টা হয়েছে। পুরোটা হয়েছে দল-মত-নির্বিশেষে। জনকল্যাণমুখী এই কর্মসূচিই দূর করেছে রাজ্য প্রশাসনের নিচু স্তরের শ্লথ গতি এবং আমলাতন্ত্রের রাজনীতিকরণ দূর করছে। এই কর্মসূচির জেরে এই জেলার প্রশাসনিক প্রধানরা দ্রুত অভিযোগ নিষ্পত্তি করা নিয়ে সব সময় সজাগ থাকছেন। প্রশাসনের নিচুতলার কর্মীরা সবসময় সতর্ক থাকায় এই বোধটা প্রকৃতপক্ষে জনসাধারণকে সুশাসন উপহার দিচ্ছে এমনই দাবি প্রশান্ত কিশোরের।

Loading

Leave a Reply