অভাব হবে না খাদ্যের। জোয়ার আসবে কর্মসংস্থানের। ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির কোমর সোজা করার দাওয়াই। ভোটের বাজারে এইসব চিরপরিচিত ইস্যু এখন অতীত। গত কয়েক বছরে ভোটের ইস্যুতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। মেকি দেশপ্রেমের জিগির, ধর্মের টনিক থেকে কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের ভোট টানার অঙ্ক। এসবই উঠে এসেছে ভোটের রাজনীতিতে। এবার ভোটের বাজারে অন্যতম ইস্যু অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য। অভিনেতার প্রতি মানুষের আবেগকে ভোট বাক্সে ‘কনভার্ট’ করতে পারলেই কেল্লাফতে। সৌজন্যে অবশ্য ভারতীয় জনতা পার্টি। মানুষের আবেগকে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চের তাস হিসেবে প্লে করায় সিদ্ধহস্ত গেরুয়া শিবির। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। বিহার নির্বাচনও এবার সেই দিকেই এগচ্ছে। ভোটের প্রচারে সুশান্ত ইস্যুকে কাজে লাগাতে মরিয়া বিজেপি। বিহারজুড়ে হাসিমুখে সুশান্তের ছবি দেওয়া পোস্টারে ছেয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে ফলাও করে লেখা ক্যাপশন, ‘না ভুলা হ্যায়, না ভুলনে দেঙ্গে’।
এমনই প্রচার চালাচ্ছে বিজেপির সাংস্কৃতিক সংগঠন, ‘কলা সংস্কৃতি মঞ্চ’। এখানেই অবশ্য নেমে থাকতে চাইছে না তারা। আরও পোস্টার-ব্যানার এবং সুশান্তের ছবি দেওয়া মাস্ক বিলির পরিকল্পনা নিয়েছে এই সংগঠন। বিজেপি অবশ্য মানুষের আবেগকে ভোট রাজনীতির অঙ্ক বলে মানতে রাজি নয়। অভিনেতার সুবিচারের জন্যই তাদের এই লড়াই বলে দাবি।
যদিও পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথাই বলছে। বিহারে ৪০টি কেন্দ্রের ভাগ্য নির্ধারণ করে রাজপুতরা। রাজ্যের ১৯ জন বিধায়কও রাজপুত। সুশান্ত সিং ছিলেন একজন রাজপুত সম্প্রদায়ের। তাই রাজপুতদের এই আবেগকে ভোট বাক্স পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলেই যে ভোটের অংক অন্য কথা বলবে, তা বিলক্ষণ জানে বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। তাই বিরোধীদের অভিযোগ যে একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার নয় তা টের পেতে খুব একটা মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই বলেই মনে হয়।