দেশের আর্থিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। ক্রমশ নামছে জিডিপির হার। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি। এই পরিস্থিতিতে শত্রু সম্পত্তি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। এমনটাই বিশেষ সূত্র থেকে খবর মিলছে।ভারতে এই সম্পত্তির পরিমাণ নয় হাজারেরও বেশি। জানা গেছে এই সম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া যাবে এক লাখ কোটি টাকা।আর্থিক সঙ্কট কাটাতে মোদি সরকার এখন শত্রু সম্পত্তি বিক্রি করে এক লাখ কোটি টাকা পেতে চাইছে।এই প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত ও বাধাহীনভাবে হয়, সে জন্য তিনটি কমিটি তৈরি হচ্ছে । অমিত শাহের নেতৃত্বে মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটি ছাড়াও ক্যাবিনেট সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে আরও দুটি কমিটি করা হচ্ছে। সূত্র থেকে জানা গেছে মুম্বাই ও কলকাতার সম্পত্তি সর্বাগ্রে বিক্রি করা হবে। কারণ এই দুই স্থানে সম্পত্তির দাম সব থেকে বেশি। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে এই সম্পত্তি কোথা থেকে এলো?জানা যাচ্ছে দেশভাগের সময় যে সমস্ত মুসলিমরা পাকিস্তান বা পূর্ব পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলে এই সম্পত্তি তাদের। চীনে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের এর মধ্যে কিছু সম্পত্তি আছে। উত্তরপ্রদেশে এইরকম সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক হাজার।
হিসাব বলছে, পশ্চিমবঙ্গেই এরকম সম্পত্তির পরিমাণ দুই হাজার ৭২৫টি। দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গ, বিশেষ করে কলকাতা ছেড়ে তারা চলে গিয়েছিলেন তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে। সারা দেশে শত্রু সম্পত্তির পরিমাণ হল নয় হাজার ২৮০টি, যা প্রধাণত মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশে ছড়িয়ে৷ মুসলিম বাদে চীনাদের ছেড়ে যাওয়া অল্প কিছু সম্পত্তিও আছে। তবে এই সম্পত্তি বিক্রি করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে৷ সেই প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য এতগুলি কমিটি করা হয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই এই টাকা পেলে সরকারের সমস্যা কমবে।