মুর্শিদাবাদ থেকে ৬ আল-কায়েদা জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ইস্যুতে বিরোধীরা ক্রমশ সরকারকে দিচ্ছে। পাল্টা জবাব দিয়েছে সরকারও। তবে ধৃতদের জেরা করে এনআইএর হাতে যা তথ্য উঠে এসেছে তা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। জানা গেছে দেশের কোন মেট্রো শহরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল আল-কায়েদার মূল লক্ষ্য। সেই অপারেশনের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করতেই ডোমকল এ বৈঠকে বসে ছিল আল-কায়েদা জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা। মডিউলের মাথা মুর্শিদ হাসানের নির্দেশেই ওই বৈঠক ডাকা হয় সেখানে আরো ১০-১৫ জন ছিল বলে এনআইএ সূত্রে খবর।
এমনকি ১৫ থেকে ২০ জন রাজনীতিবিদের হিট লিস্ট তৈরি করে ফেলেছিল আল-কায়েদা। তবে তাদের মূল লক্ষ্য ছিল দিল্লি ও কাশ্মীর। ধৃতদের ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন থেকে একাধিক লোন উলফ কায়দায় জঙ্গি হামলার ভিডিও উদ্ধার হয়েছে। এমনকী কাশ্মীরে লোন উলফ হামলার বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির হওয়ার কথা ছিল। সেই শিবিরের দিনক্ষণ জায়গা সব নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছিল পাকিস্তান থেকে। জুতো জঙ্গিদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এর লোকজনও যুক্ত ছিল বলে এনআইএ সূত্রে খবর। এমনকী আইএসআইয়ের এক কর্তার কাছ থেকে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া হয়ে ধৃতদের কাছে টাকাও এসেছিল।