করোনা নিয়ে এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দেশের মধ্যে প্রথম করোনা হাসপাতাল গড়ে উঠবে কলকাতায়। এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে শুধুমাত্র করোনা চিকিৎসার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। সোমবার থেকে সুপারস্পেশ্যালিটি ব্লকে শুরু হচ্ছে করোনা রোগী এবং সন্দেহভাজনদের চিকিৎসা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১টি ব্লকে করোনা রোগী এবং সন্দেহভাজনদের চিকিৎসা পরিষেবা চালু হবে। সোমবারের মধ্যে চালু করার জন্য প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। স্বাস্থ্য ভবনে সমস্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে দিচ্ছি। আগামী দিনে রোগী বাড়লে সমস্যায় যাতে না পড়তে হয় সেই কারণে আমরা অন্যান্য বিল্ডিংও খালি করার কাজ চলছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের অন্যান্য হাসপাতালে সরানো হচ্ছে। কম আশঙ্কাজনক রোগীদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’। বুধবারের মধ্যে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এবং ভেন্টিলেশন–সহ পরিষেবা চালু হচ্ছে। ধাপে ধাপে ৩০০০ শয্যার চিকিৎসাও শুরু হবে। সেই কারণে নতুন করে রোগী ভর্তি নেওয়া হবে না। শোনা যাচ্ছে, জরুরি বিভাগও বন্ধ করে দেওয়া হবে। সুপার বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হলে অন্য চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে।
আপাতত ৩০০ শয্যা নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত এবং সন্দেহভাজনদের চিকিৎসা কেন্দ্র। হাসপাতালের ৯ তলার যে সুপারস্পেশ্যালিটি ব্লক রয়েছে সেখানে দুটি তলা রাখা হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য। বাকি ৭টি তলায় করোনা সন্দেহভাজনদের চিকিৎসা করা হবে। এমনকী নতুন হস্টেলও বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে। এই সপ্তাহের মধ্যেই সুপারস্পেশ্যালিটি ব্লকে করোনা সংক্রান্ত সব ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কলকাতার বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তারপরই এই ঘোষণা তিনি। তারপরই জোরকদমে এই কাজ শুরু হল।