৫ ই এপ্রিল, মেদিনীপুর, তন্ময় সিংহ:- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানার অন্তর্গত কানাশোল গ্রাম এমনিতে আর পাঁচটা কৃষিপ্রধান বর্ধিঞ্চু গ্রামের মতোই। কিন্তু এই গ্রাম টির পরিচিতি সারা মেদিনীপুর নয় সারা বাংলায় বাবা ঝাড়েশ্বরের মন্দিরের জন্য। হিন্দু ধর্মের প্রাচীনতম দেব মহাদেব এখানে পূজিত হোন ঝাড়েশ্বর রূপে এবং এই প্রাচীন রাীতিতে নির্মিত মন্দিরের সাথে সাথে বাবার মাহাত্ম্য জড়িয়ে আছে পরতে পরতে। চৈত্র মাসের গাজন উপলক্ষ্যে প্রায় একমাস ব্যাপী মেলা জেলার বিখ্যাত, সেই গাজন মেলায় দশ হাজারের বেশি বাবার অনুচর ভক্তা সহ লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয় কানাশোল গ্রামে। সেই চড়ক সংক্রান্তির পূজা এবার ধর্মীয় রীতিমতো পঞ্জিকা অনুযায়ী হলেও মেলা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূজার আয়োজকরা।
প্রশাসনের পরামর্শ মেনে এবার কোনো ভক্তা থাকবে না ও বাবার চড়ক সংক্রান্ত কোনো অনুষ্ঠান হবে না। তোড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক স্বপন সিংহ এই মেলাকে কেন্দ্র করে মিথ ও বাবার মাহাত্ম্য নিয়ে বিশেষত মন্দির সংলগ্ন পুকুর টির মাহাত্ম্য অসাধারণ বলে জানান। এই মন্দিরের সেবায়েত পুরোহিত সুনীল মিশ্র, যিনিও তোড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, তাঁর পঁচাত্তর বছরের জীবনে এ অভিজ্ঞতা নেই ,তবে তিনি পূর্বপুরুষদের থেকে শুনেছেন ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করে।
তারই ফলস্বরূপ সঙ্গে সঙ্গেই মন্দিরের সমস্ত পূজা সংক্রান্ত কার্যক্রম বাতিল করে দেওয়া হয়, তার পরে এই ২০২০ সালে প্রশাসনের পরামর্শ মতো সোস্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখতে এই বছরের গাজন উতসব হচ্ছে না। সুনীল বাবু আরও জানান, তারা বাবার পূজা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বাবার কাছে সংসারের সকলের মঙ্গলকামনা ও কোরনা আতঙ্কের থেকে মুক্তির প্রার্থনা করছেন।