ঋদি হক, ঢাকাঃ- দ্রুত পাল্টাচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি! করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা লক্ষণ নিয়ে মৃত্যু হওয়া অনেকের নমুনা পরীক্ষার বাইরে থাকায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারছেন না প্রশাসন। লকডাউন নিশ্চিত করা না গেলে, গোষ্ঠী সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। সকাল থেকে দুপুর অব্দি বাজারগুলোতে স্বাভাবিক দিনের মতোই মানুষের প্রচন্ড চাপ লক্ষ্য করা গেছে। সেখানে সামাজিত দূরত্ব মেনে চলা হচ্ছে না। বুধবার রাস্তায় যানবাহনও ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিংয়ে যুক্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নতুন আরও ৪ জনের মৃত্যু নিয়ে ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ২১২জন আক্রান্ত হয়েছে। যা নিয়ে আক্রান্তর সংখ্যা পৌছালো ১২৩১ জনে। দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা শনাক্ত হচ্ছে, যাদের বেশিরভাগই করোনার হটস্পট নারায়ণগঞ্জ থেকে গিয়েছেন। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, করোনা ভীতু মানুষ রাতের আধারে নারায়ণগঞ্জ থেকে জল ও সড়ক পথসহ বিভিন্ন পালিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রায় শ’ তিনেক নারীপুরুষকে পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে তারা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে পালানোর সময় তাদের বহন করা একাধিক ট্রাক ও ট্রলার আটক করেছে তারা। একই পন্থায় পণ্যবাহী পিকআপে চট্টগ্রাম ছাড়ার পথে ১৮ নারীপুরুষকে আটক করা হয়। মানুষ লকডাউন ভঙ্গ করে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে জলপথে চাঁদপুরের দূরত্ব কম। এখানে এখনও পর্যন্ত এক চিকিৎসকসহ ৬ আক্রান্ত খবর পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে চারজনই নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা। জলপথ নিরাপদ ভেবে ট্রলারে মানুষ পালাচ্ছে সেখানে। এতে চাঁদপুরের মানুষ চরম আশঙ্কায় পড়েছেন। জলপথে টহল বাড়িয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলছেন, এসব লোকদের চাঁদপুরে প্রবেশ বন্ধ করা হবে। অপর দিকে রাজশাহীতে উপসর্গ ছাড়াই এক নারীর শরীরে করোনা শানাক্ত হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই নারায়ণগঞ্জে পোশাককারখানায় কাজ করতেন। মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় নারীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বুধবার আবারও তাদের নমুনা পরীক্ষার কথা রয়েছে। এ পর্যন্ত রাজশাহীতে যে তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, তারাও নারায়ণগঞ্জ থেকে গিয়েছেন।