মেয়ে নাবালিকা, ক্লাস নাইনে পড়ে। তারমধ্যে বাড়িতে সম্প্রতি মেয়ের প্রেমের কথা জানাজানি হয়। তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হলেও আগুনে ঘি পরে, বাবা যখন জানতে পারে তার নাবালিকা মেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্বা। জানা গেছে, বাড়িতে প্রায় প্রতিদিন এই প্রসঙ্গে ঝামেলা লেগে থাকতো। মেয়েকে বকাবকি, মারধর করতো বাবা। রবিবার বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে মা এর সাথে পিসির বাড়ি এসেছিল নবম শ্রেনীর ওই ছাত্রী। ঠিক ছিল, কিছুদিন থেকে যাওয়ার।
পুলিশ সূত্রে খবর, নাড়ুগোপাল মাঝির প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নবম শ্রেণির ছাত্রীর। তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি চলছিল। কিন্তু তাঁদের প্রেমের সম্পর্কে আপত্তি ছিল ওই নিম্নবিত্ত পরিবারের। এই অবস্থায় দুই মাসের অন্তস্বঃত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ আরও চরম আকার নেয়। দিনের পর দিন অশান্তি এড়াতে মেয়েকে নিয়ে তার পিসির বাড়ি গোয়ালতোড় থেকে চন্দ্রকোনায় চলে আসে মা। পারিবারিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা চলছিল। এর মধ্যেই ফের গন্ডগোল শুরু হয়। তীব্র অশান্তির মধ্যে লাঠি দিয়ে মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে। মেয়ের এই অবস্থা না দেখতে পেরে ঘরের ভিতরে চলে যায় মা। কিন্তু তারপরেও বাবা তার মেয়েকে লাঠিপেটা করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে মেয়েটি। মেয়ের মৃত্যু হয়েছে জানতে পেরে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির রান্না ঘরে থেকে দেহটি তুলে বস্তায় ভরে দেয়।
কিন্তু প্রতিবেশীদের মধ্যে কানাঘুষো শুরু হতেই খবর যায় চন্দ্রকোনা পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তাবন্দি দেহটি উদ্ধার করেছে। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত অন্তস্বঃত্ত্বা কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত কে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যদিও মেয়ের প্রেমিকের এখনও কোন হদিশ মেলেনি।