জেলা

নিজেরা লড়াই করেও মুখ্যমন্ত্রীর লড়াইয়ে শামিল সাফাই কর্মীরা

একদিকে তারা যখন করোনার মতো ভয়াল সংক্রমণের হাত থেকে পুরবাসীকে রক্ষা করতে প্রাণের মায়া ত্যাগ করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। অন্যদিকে, তাদের যে একটা মানবিক মন আছে তার ও প্রমাণ দিলেন এইসব সাফাই কর্মীরা। এদের অধিকাংশই অস্থায়ী এবং দৈনিক মজুরিতে চাকরি করেন। কিন্তু এই যে মহামারি শুরু হয়েছে তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে এগিয়ে এসেছেন রাজ্যবাসীকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় তার জন্য চেষ্টা করছে। পাশাপাশি গরিব মানুষদের যথাসাধ্য সাহায্য করছেন। সেই কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে শেওড়াফুলি বৈদ্যবাটি পুরসভার সাফাই কর্মীরা তাদের নিজেদের কষ্টার্জিত উপায় থেকে ৮৩ হাজার টাকা তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। এদিন পৌরসভার পুরপ্রধান অরিন্দম গুঁইয়ের হাতে সেই টাকার চেক তুলে দেন।




এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে সাফাই কর্মীদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিদর্শক জানান, দেশজুড়ে যে করোনার মহামারি চলছে তাতে উদ্বিগ্ন রাজ্যবাসী।এই সময় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সবাই এই লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন। বিশেষ করে চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী সাফাই কর্মীদের কাজ এই বিপদের দিনে সকলকে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। তারই মাঝে রাজ্যবাসীর পাশে ক্ষুদ্র সাহায্যের হাত বাড়ালেন শেওড়াফুলি বৈদ্যবাটি পুরসভার সাফাই বিভাগের কর্মীরা। এ কাজে তাদের সর্বত্রভাবে সাহায্য করেছেন পুরসভার সাফাই বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সুবীর ঘোষ। তিনি সাফাই কর্মীদের পাশে থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য ৮৩ হাজার টাকা সংগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রী র ত্রাণ তহবিলে তুলে দেন। পুরসভার এই সাধারণ সাফাই কর্মীদের কাজে গর্বিত পুরসভা থেকে এলাকার নাগরিকরা পর্যন্ত।পুরবাসীদের দাবি আমরা যদি সবাই এই বিপদের দিনে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারি তবে এই মহামারির বিরুদ্ধে জয় আমাদের হবেই।


Loading

Leave a Reply