দেশ

নিজের দল ও জোট সঙ্গীকে বিধানসভা নির্বাচনের হারানোর দায়িত্ব এই হেভিওয়েট নেতারা কাঁধেই।

দোরগোড়ায় দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করতে পারবে না বলেই আভাস মিলেছে। পাশাপাশি পুনরায় একবার ক্ষমতায় আসার প্রবল সম্ভাবনা আম আদমি পার্টির। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাথে জোট করলো নিতিশ কুমার। যদিও এই বিধানসভা কেন্দ্রে মাত্র দুটি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে নিতিশ কুমারের দল। ইতিমধ্যে তারকা প্রচারকদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দলের সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোরকে।একদিন আগেই বিজেপির সঙ্গে জোটে সিলমোহর দিয়েছে জনতা দল ইউনাইটেডের শীর্ষ নেতৃত্ব। ৭০ আসনের বিধানসভায় বিজেপি লড়ছে ৬৭টি আসনে। আর জেডিইউ দুই এবং এলজেপি একটি আসনে লড়াই করছে। ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করেছে বিজেপি। জেডিইউ তাদের তারকা প্রচারকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। যাতে ঠাঁই পেয়েছেন দলের সাংসদ এবং নেতারা। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পাশাপাশি তালিকায় আছেন কে সি ত্যাগী, আরসিপি সিং, বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংয়ের মতো শীর্ষ নেতারা।

অথচ, দলের সহ-সভাপতি প্রশান্ত বাদ গিয়েছেন তালিকা থেকে। মজার কথা হল, প্রশান্ত কিশোর দিল্লিতে আম আদমি পার্টির নির্বাচনী পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন। আর সেকারণেই হয়তো তাঁকে ছেঁটে ফেলছে দল।সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি নিয়ে দলের ঠিক উলটো অবস্থান নিয়েছেন প্রশান্ত। তাঁর মতে, এনআরসি এবং সিএএ-র যুগলবন্দি মারাত্মক ও বিপজ্জনক। এই ইস্যুতে বিজেপির শীর্ষনেতাদের নানাভাবে তোপ দেগেছেন প্রশান্ত। নিজের দলের নেতাদেরও ছাড়েননি। এসব নিয়ে অনেকদিন ধরেই তাঁর দল ছাড়ার জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে তাঁকে ছেঁটে ফেলা হল দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের তারকা প্রচারকদের তালিকা থেকে। প্রশান্তের পাশাপাশি বাদ গিয়েছেন আরেক শীর্ষ জেডিইউ নেতা পবন কুমার বর্মা। তিনিও সিএএ এবং এনআরসির বিরোধিতা করেছিলেন। একদিকে যখন প্রশান্ত কিশোরের দল বিজেপির সঙ্গে জোট করে দিল্লি বিধানসভা ভোটে লড়াই করবে তখন প্রশান্ত নিজের দলকে হারাতে মাঠে নামবেন আম-আদমি পার্টির ভোটের পরামর্শদাতা হিসাবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন এর ফলে বিপাকে পড়বে তার নিজের দল। অনেকে আবার এমনটাও বলছেন এ তো একেবারে সরাসরি দলের সাথে বিরোধিতায় নেমে পড়া। এর ফলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে তার দল।

Loading

Leave a Reply