নৈহাটির দেবক এলাকার একটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে শুক্রবার সকালে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ইতিমধ্যেই ৩ জনের মৃত্যু ও বহুজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়। শুধু তাই নয়, গঙ্গার অন্যপ্রান্তে হুগলির বাসিন্দারাও কেঁপে ওঠেন বিস্ফোরণের আওয়াজে। চুঁচুড়ার প্রেমনগর, আখনবাজার-সহ একাধিক এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরাও কম্পন অনুভব করেছেন। সূত্রের খবর, ওই বাজি কারখানায় বহু মহিলা ও শিশু শ্রমিক কাজ করত। যেভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে, তাতে হতাহতের সংখ্যা অনেকটাই বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। শুধু শ্রমিকরা নন, গোটা এলাকাটাই ক্ষতিগ্রস্ত।
হুগলির এক প্রেমনগরের বাসিন্দা পম্পা দলপতি বলেন, দুপুর তখন সাড়ে ১২টা হবে। পরপর তিনটে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনলাম, তার পরপর চলল শব্দ। শুনে মনে হচ্ছিল যেন মেশিনগান চলছে। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলছিল বিস্ফোরণ। বাড়ি কেঁপে ওঠে, রাস্তায় বেরিয়ে আসি আমরা। এত জোরে ব্লাস্ট, আমরা বলাবলি করছিলাম প্লেন ভেঙে পড়ল নাকি। তার পরে আলোচনা হচ্ছিল, ভাটপাড়ার জন্য নৈহাটিতে প্রায়ই গোলমাল লেগে থাকে। সেরকমই গোলাগুলি চলছে বুঝি। বাজি কারখানার বিস্ফোরণ বলে বুঝিইনি আমরা। কত বারুদ থাকে যে এমন শব্দ হবে! পুলিশ জানিয়েছে, কোনও তেজস্ক্রিয় তৈরি হচ্ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মুনাফার লোভে বেআইনি ভাবে চালানো হচ্ছিল কারখানা। ঘটনার পরে মালিক নুর হুসেন পলাতক।
ঘটনাস্থলের রয়েছে নৈহাটি থানার পুলিশ ও দমকল। পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে, ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। বিজেপির দাবি, এখানে শক্তিশালী বোমা বানানো হচ্ছিল। কোন কারণে তা ফেটেই বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে তারা খাগরাগড়ের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।