পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজারকে পঞ্চায়েত অফিসের ভেতরে বেধড়ক
মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়
তৃণমূল নেতা তথা সুপারভাইজার সীমন্ত সাঁতরাকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার জেরে মঙ্গলবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়ায় আরামবাগের
মলয়পুর ১ পঞ্চায়েত চত্বরে।আক্রান্ত তৃণমূল নেতা শ্রীমন্ত সাঁতরার অভিযোগ, এদিন দুপুরে তিনি যখন
পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজের বিভিন্ন নথিপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সময়
পঞ্চায়েতেরই কর্মী গণেশ বাগ ও বিজেপি নেতা সুভাষ সাঁতরা তাকে মিটিং হলে ডেকে
নিয়ে গিয়ে আর দশজন বিজেপি কর্মীকে দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। সমস্ত
ঘটনার মাস্টারমাইন্ড পঞ্চায়েতের কর্মী তথা বিজেপি নেতা গনেশ বাগ। পঞ্চায়েতের
মিটিং হলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে আরামবাগ
মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিনা কারণেই তাঁকে মারধর করল পঞ্চায়েতের
কর্মী গণেশ বাগ ও বিজেপি নেতা সুভাষ সাঁতরা সহ বিজেপির দুষ্কৃতীরা।
এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন মলইয়পুর ১ পঞ্চায়েত প্রধান
দিপালী সাহা। তিনি জানিয়েছেন সমস্ত বিষয়টি উচ্চ দপ্তরে জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে আরামবাগের বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য্য বলেন তিনি বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছেন।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। একজন পঞ্চায়েতের কর্মী হয় কিভাবে ১০০ দিনের কাজের কর্মীকে মারধরের করলেন তা নিয়েও শুরু
হয়েছে তীব্র জলঘোলা। খোদ পঞ্চায়েত অফিসের ভেতরে বিজেপি নেতৃত্বের এই
মারধরের ঘটনাকে নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এ বিষয়ে আরামবাগ
ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কমল কুশারী জানান, আসলে বিজেপির স্বভাবটাই
মারধর । একজন পঞ্চায়েতে কর্মী হয়েও ১০০ দিনের কাজের সুপারাভাইজারকে তিনি
যেভাবে মারধর করলেন এর থেকে ধিক্কারজনক কাজ কিছু হতে পারেনা ।সমস্ত
বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই
পঞ্চায়েতের কর্মী গণেশ বাগ, বিজেপি নেতা সুভাষ সাঁতরা বেশ কয়েকজনের নামে
আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আরামবাগ বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন এটা জনরোষের ফল। এই ঘটনার সাথে বিজেপির কোন সম্পর্ক নেই।করোনা ও আমফান আবহেই আরামবাগের মলয়পুরের এই ঘটনায় এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা।