“একবার বলরে মধুমাখা কৃষ্ণ নাম একবার বল রে।” সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস আর অসৎ সঙ্গে নরকবাস। এবার এমনই ঘটনা ঘটলো পাখিদের ক্ষেত্রে। এবার ভাষা ছাড়া হতে হলে পাখিদের। আমরা দেখেছি পাখিদেরকে সাধারণত তাদের কাছে গিয়ে যে কথাই বারবার আওড়ানো হয় তারা সেই কথাগুলি বলতে পারে। তবে বিশেষ প্রজাতির পাখির ক্ষেত্রেই এমনটা সম্ভব। তারা মানুষের কথা বেশ অনেকটাই অনুকরণ করে ফেলে। সর্বদা বলতে থাকে আমাদের সেখানো বুলি। বেশকিছু বাড়িতে এমন পাখি দেখা যায়। যারা শেখানো বুলি খুব সুন্দর ভাবে বলতে পারছে। তবে আমরা সাধারণত অনেকেই চেষ্টা করে থাকি ভালো কথা শেখানোর। কোন বাচ্চার নাম ধরে ডাকা বা মা – খাবো, ভাত দাও ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছু। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় অল্প কিছু মুষ্টিমেয় মানুষদের নিয়ে যারা পাখিদেরকে নিজেদের মতো করে বিভিন্ন ধরনের গালাগালি শেখাতে থাকে।
যেমন বাচ্চা ছেলেদেরকে গালাগালি বা খারাপ কথা সেখালে তারা সেটা তাড়াতাড়ি অনুকরণ করে নেয়, ঠিক তেমনভাবেই বাচ্চা ছেলের মত পাখিরাও এই ধরনের কথা খুব তাড়াতাড়ি রপ্ত করতে পারে। কিন্তু এবারে গালাগালি দিতে গিয়ে নিজের আস্তানাই ছাড়তে হলো বেশকিছু পাখিকে। ঘটনার সাক্ষী রইল লন্ডন। প্রতিবেশীদের গালাগালি দেয় টিয়া। ছোট বড় সকলের সামনে অবলীলায় বলে চলে বাজে কথা। সেই সব নোংরা কথায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। লন্ডনের একটি চিড়িয়াখানা থেকে বের করে দেওয়া হল ৫ টিয়া পাখিকে। ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডের লিংকনশায়ার ওয়াইল্ড লাইভ পার্কে। তবে ঠিকঠাক ভাষা শেখানোর জন্য ওই পাখি গুলিকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই টিয়া পাখি গুলির নাম হল এরিক, জেড, এলসি, টাইশন এবং বিল্লি। চিড়িয়াখানার তরফে জানানো হয়েছে তারা একসঙ্গে জঘন্য ভাষায় গালাগালি করে। তারা ঠিক কি ভাষা বলেন তা সঠিকভাবে জানা নেই। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ টিয়া পাখি গুলিকে আফ্রিকা থেকে লন্ডনের ওই চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।