কু-কর্মে বাধা হয়ে দাঁড়াল নেশা। নেশা করার পর চোর বাবাজীবন এসেছিল চুরি করতে। কিন্তু তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে জলে ঝাঁপ দিয়েও শেষরক্ষা হল না। মদ্যপ থাকায় সে সাঁতার কেটে পালাতে পারেনি। তাকে জল থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নেশার কারণেই বাসিন্দাদের হাতে পাকড়াও হয় সে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ রফিকুল। গলসি থানার কৈতাড়া গ্রামে তার বাড়ি। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদড়াহাটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বুধবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে শুক্রবার ধৃতকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে কৈতাড়া গ্রামের বাবলু মণ্ডলের ঘরে ঢুকে পড়ে রফিকুল। সেই ঘরে বাচ্চাকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন বাবলুবাবুর মেয়ে। ঘুম ভেঙে গেলে ঘরের মধ্যে রফিকুলকে দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন তিনি। বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে গেলে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন রফিকুল। আশপাশের লোকজন তাকে তাড়া করেন। এরপরই সে জলে ঝাঁপ দেয়।