এ রাজ্যে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া উপ নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে ৩-০ ক্লিনচিটের পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ উঠে এসেছিল। তারমধ্যে এনআরসি ইস্যু যেমন রয়েছে। তেমনি সাফল্যের পিছনে অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছিল শাসক দলের দিদিকে বলো কর্মসূচি। নতুন বছরে তৃণমূলের জনসংযোগ প্রক্রিয়ায় আরও অভিনবত্ব আসতে চলেছে। দিদিকে বলো কর্মসূচিতেও থাকতে পারে বিভিন্ন চমক। আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে চলতি কর্মসূচির বকেয়া টাস্ক শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের বিধায়কদের। দলীয় সূত্রে খবর উপনির্বাচনে সাফল্য এনে দেওয়ায় পুরভোটেও একই রকম প্রচার কৌশল অবলম্বন করা হতে পারে বলে দিদিকে বলোর জেলাওয়ারি পর্যালোচনা বৈঠকে ইঙ্গিত মিলেছে।
উপনির্বাচনের সাফল্যই আস্থা বাড়িয়েছে দলের এই নতুন প্রচার কৌশলে। তাই নেতাদের প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে পুরভোটে দিদিকে বলো কর্মসূচির পুনরাবৃত্তি হতে পারে। নেতাদের অনুমান, এলাকাভিত্তিক ইস্তেহারের পথে হাঁটতে পারে দল। বিশেষ করে কলকাতার পুরোভোটের জন্য নগর পরিকল্পনা ও পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্তেহার তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কলকাতা কতটা আধুনিক হয়েছে, নাগরিক পরিষেবা কতটা সহজে এখানে পাওয়া যায় সেইসব নিয়ে কোলাজ ও বিজ্ঞাপন তৈরির পথে হাঁটতে পারে টিম পিকে। তাই নতুন বছরে পুরভোটকে সামনে রেখে এখনই আসরে নেমে পড়েছে তৃণমূল কথা বলাই যায়।