আসলে ছোটবেলা থেকেই হাত পেতে চরণামৃত নেওয়ার অভ্যাসটা যেন হয়ে রয়েই গেছে। তারই যেন কিছুটা আঁচ পাওয়া গেল কাটোয়ার যুবকের কর্মকাণ্ডে। নিজের কাজ নিয়ে পুরসভায় এসেছিলেন শহরেরই বাসিন্দা ওই যুবক। পুরসভার প্রবেশপথে এক অস্থায়ী কর্মী তাঁর হাতে ঢেলে দেন দু’ফোঁটা তরল। হাত পেতে তা নেওয়ার পরেই চরণামৃত ভেবে খেয়েই ফেললেন। তারপর সেই হাত মাথায় ঠেকিয়ে নেন। তারপরেই পুরসভার ওই কর্মী অবশ্য উচ্চস্বরে বলে ওঠেন কী করছেন মশাই। হতভম্ব ওই যুবক অবশেষে বিষয়টি বুঝতে পেরে লজ্জায় সেখান থেকে চলে যান। যাওয়ার আগে অবশ্য তিনি বলেন, চরণামৃত ভেবেই ওই স্যানিটাইজার খেয়ে নিয়েছেন। পরে বুঝতে পারেন ওটা হাত পরিষ্কার করার জীবাণুনাশক তরল। তবে অস্থায়ী কর্মীর কথায় হতবাক সকলেই। শুধু ওই যুবক একাই নয়, এর আগেও অনেকে ওই হ্যান্ড স্যানিটাইজার চরণামৃত ভেবে খেয়ে নিতে উদ্যত হয়েছিলেন।
যদিও তার আগেই বাধা দেন পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। তাঁদের বুঝিয়ে বলা হয়, এটা হাত পরিষ্কার করার জীবাণুনাশক তরল। বর্তমানে মরণ ভাইরাস করোনা নিয়ে সর্বত্রই সচেতনতামূলক প্রচার চলছে। তাতে শামিল হয়েছে পুরসভাগুলিও। স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসনের তরফে এনিয়ে প্রচার করা হচ্ছে যে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখুন। সেই নির্দেশ মেনেই পুরসভায় আসা প্রত্যেক নাগরিককে ঢোকার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছিল। যদিও আচমকা চরণামৃত ভেবেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার খেয়ে ফেলেন কাটোয়ার এক যুবক। যদিও প্রশ্ন উঠেছে শহরের মানুষের যদি হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে ধারণা না থাকে, তাহলে গ্রামে তো আরও দূরাবস্থা হবে। তাই এনিয়ে আরও প্রচার করার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন সকলে।