করোনার জেরে যখন সমস্ত দিছে টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, এমনকী ভারতেও ইতিমধ্যে চারজন মারা গেলেও আক্রান্তের সংখ্যা দুশো ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সমস্ত মানুষ যখন অসহায় হয়ে পড়েছে এবং মানুষ অসহায় হয়ে ভগবানের উপর আত্মসমর্পণ করে সবকিছু তাঁর হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন। ঠিক তখনই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ইতিহাসে প্রথমবার ঘটল এমন দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাত ৭টা নাগাদ আগুন লেগে যায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চুূড়ায় থাকা ধ্বজা বা পতাকায়। এই পতাকার নাম পতিতপাবন। নীল চক্রের উপরে অবস্থিত এই ধ্বজায় আগুন লেগে যাওয়ার মধ্যে মহা বিপদের ইঙ্গিত পাচ্ছেন অনেক ভক্ত।
প্রাথমিক অনুমান, প্রদীপ থেকে এই আগুন লেগেছে। ধ্বজাটি যে ধাতব চক্রে বাঁধা ছিল, সেটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রতি একাদশীতে বিশালাকৃতি চক্রের সামনে প্রদীপ দেওয়া হয়। এই বিরাট চক্র অষ্টধাতু দ্বারা নির্মিত, যা আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। এমনিতে বৃহস্পতিবার থেকেই পুরীর মন্দির সাধারণের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস রুখতে সারা পৃথিবীর প্রায় সব ধর্মস্থানের মতোই ওড়িশা সরকার ও পুরী মন্দির কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করোনা আতঙ্কের মধ্যেই জগন্নাথ মন্দিরের এমন দুর্ঘটনা দুশ্চিন্তা ও ভীতির সঞ্চার করেছে ভক্তদের মনে।
মন্দিরের একজন সেবাইত জানিয়েছেন, প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটল। এর আগে কয়েকবার ধ্বজা খসে পড়েছে এবং তখনই আমাদের দেশে বা রাজ্যে খারাপ কিছু হয়েছে। তবে কী এখন সমগ্র মানুষের জন্য আরও বড় কোনও বিপদ আসতে চলেছে? তারই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এই পুরীর মন্দিরে? ভক্তদের মনে এমন চিন্তাই ঘুরপাক খাচ্ছে।