জেলা

পোষা কাঠবেড়ালী ছেড়ে দেওয়ায়, অভিমানে আত্মঘাতী তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র

পোষা কাঠবেড়ালী বাড়ির লোক ছেড়ে দেওয়ায় অভিমানের আত্মঘাতী হল তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে রানাঘাটের আনুলিয়ার পুলিশ নগর এলাকায়। মৃতের নাম আকাশ বিশ্বাস(৯)। মৃতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে কিছুদিন আগে আকাশ বাড়িতে একটি কাঠবেড়ালী ধরে আনে। কয়েকদিন ধরেই বাড়িতে তার যত্ন নিচ্ছিল সে নিজে। সব সময় খেয়াল রাখত পোষ্য কাঠবেড়ালীটির।

কিন্তু দিন কয়েক ধরে ওই কাঠবেড়ালীটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার দেহ থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। সেই কারণে আকাশের মা সেটিকে ছেড়ে দেয়। সেই সময় অবশ্য বাড়িতে ছিল না আকাশ। সে স্কুলে গিয়েছিল। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে কাঠবিড়ালির ছেড়ে দেওয়ার কথা শুনে আকাশের অভিমান হয়। মা ভাত খেতে বললেও সে না খেয়ে কাউকে কিছু না বলে ছাদে নিজের খেলার ঘরে চলে যায়। ওই ঘরেই আকাশ প্রত্যেকদিন খেলা করত। তাই পরিবারের লোকজন ভেবেছিলেন হয়তো খেলার জন্যই উপরে গিয়েছে। এরপর বেশকিছু সময় কেটে গেল আকাশ নীচে নেমে না আসায় সন্দেহ হয় পরিবারের লোকজনের। তাকে ডাকাডাকি শুরু করে। কিন্তু কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে আকাশের বাবা কার্তিক বিশ্বাস উপরে গিয়ে তার ঝুলন্ত দেহ দেখেন। তড়িঘড়ি সেখান থেকে উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

এইটুকু বয়সে আত্মঘাতী হওয়ায় আকাশের পরিবারের লোক কার্যত হতবাক। আকাশের এক প্রতিবেশী বলেন, আকাশ পড়াশোনায় ভালো ছিল। সে এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত। কী কারণে এরকম ঘটে গেল আমরা ভাবতে পারছি না। আকাশের দাদু বলেন, আমাদের পরিবারের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আমি সব শিশুর মাকেই বলতে চাই, নিজেদের সন্তানদের প্রতি ভীষণভাবে সচেতন থাকতে হবে। এক মনোবিদ বলেন, এই ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। অনেকেই বেশী আবেগপ্রবণ হয়। ওরা হয়তো ৫ মিনিট আগেও জানে না এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটাবে। তাই ছোট ছোট বিষয়ে রেগে যাওয়া, কিছু ছুঁড়ে ফেলা প্রভৃতি প্রাথমিক লক্ষণ। এ বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।

Loading

Leave a Reply