দক্ষিণ ২৪ পরগনা,কাকদ্বীপঃ- আবার একবার অভিযোগ উঠল আইসিডিএস সেন্টারের কর্মীর বিরুদ্ধে। লকডাউন এর জেরে সাধারণ গরিব মানুষ রা অসহায় হয়ে পড়েছে। কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে বাড়িতে যেটুকু টাকা জমানো ছিলো তা খরচ হয়ে গেছে এতদিনে। ঠিক তারই মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি দেওয়া খাদ্য সামগ্রী নিয়ে একরাশ ক্ষোভ দেখালো প্রসূতি মায়েরা ও গর্ভবতী মায়েরা। তাদের অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকের স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত অক্ষয়নগর রিফিউজি কলোনির ১০৯ নম্বর বুথের অঙ্গনারী সেন্টারের দীর্ঘদিন ধরে খুব নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হয়। লকডাউন এর জেরে সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সেই খাবার এর বদলে প্রত্যেককে চাল ডাল ও আলু দেওয়ার ঘোষণা করেন রাজ্য সরকার। কিন্তু এই সেন্টারে আজ এক মাস এর উর্ধে লকডাউন এর ভিতর উঠলো গুরুতর অভিযোগ।
প্রসূতি মায়েরা জানান এই সেন্টারটিতে সর্বদা খুব নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হতো। আর এখন লকডাউন এর মধ্যে ও কাজাল গুলির মত ছোট আলু তাও আবার পচা এবং খুব নিম্নমানের ডাল দেওয়া হল এই দিন। তারা আরো জানান অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এখানে অঙ্গনওয়াড়ি খাদ্য রান্না করা হয়। প্রসূতি মায়েরা এও জানান প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের হুমকির মুখে পড়তে হয় প্রতিনিয়ত। এইদিন প্রসূতি মায়েরা বিক্ষোভ দেখায় সেন্টারটির সামনে। বিক্ষোভ দেখায় সেন্টারের কর্মী কৃষ্ণা টিকাদারের বিরুদ্ধে।। কৃষ্ণা ঠিকাদার জানান সরকারি বরাদ্দ ১৭ টাকা কেজি আলু তাই আমি পচা ও ছোট আলু কিনেছি। অফিস থেকে আমাকে যেইরূপ টাকা দেয় সেই টাকায় পোকা চাল ও নিম্নমানের ডালি কিনতে পারি। এইদিন লকডাউন এর মধ্যে ও গ্রামবাসী এক জায়গায় জড়ো হয়ে কৃষ্ণা ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। লকডাউন এর জেরে গোটা ভারত বর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গের গরিব মানুষের অবস্থা এখনো পর্যন্ত খুব কষ্টকর। প্রতিনিয়ত ও উঠছে সরকারি অনুদান তথা অঙ্গনওয়াড়ি খাদ্য সরবরাহ ও দুর্নীতির অভিযোগ। কিন্তু কবে হুঁশ ফিরবে সরকারের এটাই এখন দেখার।