জেলা

বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ার মুড়ি মেলা

বাঁকুড়া জেলার অন্যতম শিল্প গ্রাম কেঞ্জাকুড়া, কাঁসা-পিতল, বাঁশের তৈরি খেলনা এবং তাঁতের গামছা, এই শিল্প নিয়ে বাঁকুড়া তথা রাজ্যের শীর্ষে আমাদের গ্রাম। এই গ্রামকে তিনদিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে দারকেশ্বর নদী, গ্রামের পশ্চিমপ্রান্তে নদীর তীরে রয়েছে শ্রী শ্রী সঞ্জীবনী মাতার আশ্রম(মিলন মন্দির)।এই সঞ্জীবনী মাতার আশ্রমে আগামী ১লা মাঘ হইতে ৩ রা মাঘ পর্যন্ত চব্বিশ প্রহর ব্যাপী রাধানাম সংকীর্তন এর মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মেলা, শেষ হয় ৪ঠা মাঘ।আর এই ৪ ঠা মাঘ ১৪২৬ (19/01/2020) মানে, সঞ্জীবনী মাতার আশ্রমে মুড়ি পরবের দিন। সকাল থেকে কেঞ্জাকুড়ার পাশাপাশি গ্রাম ছাড়াও বিভিন্ন জেলার থেকে ২৫-৩০ হাজার মানুষ এসে যোগদান করে এই মেলাতে।

চারদিন মেলা থাকলেও আসল ভিড় হয় ৪ঠা মাঘ। সেদিন সকাল থেকেই আসতে শুরু করে দর্শনার্থী বা মুড়িপ্রেমী। মুড়ি, চপ, বেগুনি, শিঙ্গাড়া, কাঁচালঙ্কা, শশা, মুলা, পেয়াজ, বিলাতি, জিলিপি, নারকেল নাড়ু,গুড়ের লাড্ডু, চানাচুর, ইত্যাদি নিয়ে হাজির হয় নদীর চরে। নদীর চরে চুঁয়া কুড়ে জল নেওয়া, তারপর গামছা পেতে মুড়ি মেখে সকলে মিলে একসাথে চলে মুড়ি খাওয়ার পালা । সকালে মুড়ি খাওয়ার পর মেলা দেখার পালা, তারপর একটু জিরিয়ে বা কেউ বা আপন মানুষের সাথে আশ্রমে একান্তে সময় কাটায়। অবশেষে দুপুরে সমস্ত মেলার উপস্থিত মানুষদের জন্য থাকে খিচুড়ি প্রসাদের ব্যবস্থা।

Loading

Leave a Reply