বিশ্ব

বাংলাদেশে একদিনে আক্রান্ত ১৮৮৬৩

ঋদি হক, ঢাকাঃ- পরীক্ষার পরিধি যতই বাড়ছে, ততই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা। ভয়ঙ্কর অজেনা ভাইরাস অপ্রতিরোধ্য। তারা হামলে পড়েছে জনসংখ্যার অধ্যুষিত বাংলাদেশের ওপর। রাত পোহালেই গা হিম করা মৃত্যু ও আক্রান্তর তথ্য মিলছে। প্রতিষেধহীন দুনিয়া কাঁপানো করোনার কাছে গোটা পৃথিবীর মানুষ আজ আত্মসমর্পন করেছে। প্রতিরোধের ব্যবস্থা একটাই। স্বাস্থ্য নিয়মকানুন মেনে চলা। বৃহস্পতিবার যদি বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর তালিকায় যোগ হয়েছে আরও ১৪জন। এ নিয়ে মৃত বেড়ে দাঁড়ালো ২৮৩জন। আর আক্রান্তর সংখ্যা ১৯ হাজার ছুঁই ছুঁই। গত ২৪ ঘন্টায় ৪১ ল্যাবে ৭,৩৯২জনের নমুনা পরীক্ষায় ১,০৪১ জনসহ এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১৮,৮৬৩জন। ঢাকার হাসপাতালে ৯জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫জন, এপর্যন্ত মোট মারা গেছে ২৮৩জন।

গত ২৪ ঘন্টায় ২৪২ জনসহ মোট সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ৩,৬০৩ জন। সংক্রমণের ৮ম সপ্তাহে (২৬ শে এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত) ৩,৭৯২ জন শনাক্ত হয়েছে। এসময় সুস্থ্য হয়েছেন ৬৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। ৯ম সপ্তাহে (৩ -৯ মে, ২০২০) শনাক্ত ৪,৯৮০ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ২৩৩৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। চলমান ১০ম সপ্তাহে (১০ মে হতে চলমান ) শনাক্ত হয়েছেন ৫,০৯৩ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ১১৮৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৯ জনের। তিনি জানান শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ১৯.১০% এবং মৃত্যুর হার ১.৫০%। যাদের উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, ক্রনিক রেসপিরেটরি ডিজিজ আছে তারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে ভিড় এবং জনসমাবেশ এড়িয়ে চলবেন। অধিদপ্তরের হটলাইন ২৪ ঘন্টা খোলা রয়েছে। এ নম্বরে কল করে চিকিৎসা সেবা সহায়তা পেতে পারেন। বাড়ি বাড়ি যেয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ অবাহত রয়েছে। এছাড়াও বুথের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহের কাজে ব্রাক এবং জে কে জে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সহযোগীতা করে আসছে।

Loading

Leave a Reply