ঋদি হক, ঢাকা:- বাংলাদেশে যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে সামনের দিনগুলো যে খুব একটা ভাল কাটবে তা বলা দুষ্কর। ২৬ মার্চ থেকে কয়েক দফা বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা কর হয়েছিল। কিন্তু আজ বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। অতএব করোনার তান্ডব যে সহসাই থামছে না, সেকথা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং সঠিক সময়ে পোশাক কারখানার অর্ডার সরবরাহ দিতে গার্মেন্টস খুলে হয়েছে। এরপর থেকে উদ্বেগ ছড়িয়ে হু হু করে করোনার পারদ এখন লাগামহীন।
এর প্রমানও পাওয়া গেলো। রবিবার একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ৬৬৫জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও বা এদিনে মারা গেছে দুইজন। একজনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ অপরজন রংপুরের বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে একজন ১১ থেকে ২০ বছর এবং অপরজনের ষাটোর্ধ্ব। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৭৭ জনে পৌছালো। আর করোনায় এযাবত আক্রান্তর সংখ্যা দাঁদিয়েছে ৯ হাজার ৪৫৫জন। গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৫ হাজার ৩৬৮ টি নমুনার মধ্যে ৫ হাজার ২১৪টির পরীক্ষা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮১ হাজার ৪৩৪টি। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০৬৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের গেছেন ৬৫ জন। বর্তমান আইসোলেশনের সংখ্যা ১ হাজার ৬৩৭ জন। এছাড়া আইসোলেশন থেকে ৬০ জনসহ মোট ছাড়া পেয়েছেন ১০৮২ জন। যারা কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক। স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ দিয়েছে, তারা যেন আপাতত ঘরেই থাকেন। রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বাংলাদেশে যে হারে আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে করে আক্রান্তর সংখ্যা চলতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যাবার আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অদিদপ্তর।