এবার রাজ্যে পুল টেস্টের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। জানা গেছে পুল টেস্টের মাধ্যমে একসাথে কম সময়ে অনেক বেশি টেস্ট করা যাবে। এক্ষেত্রেও লালা রস সংগ্রহ করেই টেস্ট করা হবে করোনা সংক্রমন হয়েছে কিনা জানার জন্য। কিন্তু এর জন্য লাগবে একটি মাত্র কিট। যেখানে একটি কিটে একজনের টেষ্ট করা যায় সেখানে পুল টেষ্টের ক্ষেত্রে একটি কিট কাজে লাগিয়ে একসাথে পাঁচ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। জানা গেছে করোনা সংক্রামিত এলাকা চিহ্নিত করার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী হবে। তবে ঠিক কোন জায়গা থেকে পুল টেস্ট শুরু করা হবে তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। পুল টেস্টের ক্ষেত্রে কীটের সংখ্যা কম লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে একটি কিটে একটিমাত্র মানুষের পরীক্ষা করা যায় সেখানে একটি কিট দিয়ে কম পক্ষে ৫ জন মানুষের একসাথে পরীক্ষা করা যাবে। জানা গেছে সংক্রমিত হয়েছে এরকম মানুষজনের পাঁচজনের লালা রস সংগ্রহ করে একসাথে মিশ্রণ করে সেটি কিটের মধ্যে দেওয়া হবে। এই পরীক্ষায় যদি নেগেটিভ দেখা যায় তবে একসাথে ৫ জন ব্যক্তির নেগেটিভ করোনার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। অপরদিকে যদি পজেটিভ দেখা যায় তবে সেক্ষেত্রে ওই ৫ জনের একজন একজন করে নমুনা সংগ্রহ করে কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন তা জানা সম্ভব হবে।
এতে অতি দ্রুত ফলাফল মিলবে বলে গবেষকরা মনে করেন। জার্মান সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই পুল টেস্ট করে সাফল্য মিলেছে। এমনকি ভারতের আন্দামান এবং মহারাষ্ট্রেও শুরু হয়েছে পুল টেস্টের প্রক্রিয়া। আর এবার পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই টেস্ট শুরু করার। সংক্রমিত এলাকাগুলিতে একাধিক মানুষের টেস্ট করা অতি দ্রুত সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি একসাথে এক সমষ্টির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা যাবে। এর ফলে যে সমস্ত এলাকাগুলিতে সংক্রমণ হয়েছে বা জ্বর সর্দি অাছে বলে মনে করা হচ্ছে সেই সমস্ত এলাকাগুলিতে সংক্রমিত মানুষ আছে কিনা তা অতি দ্রুত দেখা সম্ভব হবে। দুটো ক্ষেত্রেই পিসিআর পদ্ধতি অনুসরণ করলেও পুল টেস্টের ক্ষেত্রে একসাথে একাধিক মানুষের পরীক্ষা করা সম্ভব হবে এবং যে সমস্ত জায়গাগুলি সংক্রমণ ঘটেনি সেই সমস্ত জায়গা গুলিকে অতি দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে।