জেলা রাজ্য

বাংলায় ঢুকতে ‘বাধা’ হাওড়ার বাবা হারানো ছেলেকে ! সীমান্তে আটকে বাংলার ৪ যুবক,সরকারি সহযোগিতার আর্জি।

দিল্লি থেকে চারটি রাজ্য পাশ করে এলেও বাংলায় প্রবেশে সম্মতি দিল না প্রশাসন। তাই বাধ্য হয়েই চেকপোষ্টে আটকে থাকতে হচ্ছে বেশ কয়েকজন যুবককে। হঠাৎ করে বাবা মারা যাওয়ায় রাতারাতি সিদ্ধান্ত নিয়ে গাড়ি ভাড়া করে বাড়ি ফিরছিলেন হাওড়া ও হুগলি জেলার বেশ কয়েকজন যুবক। বেশ কয়েকটি রাজ্য তাদের প্রবেশে সম্মতি দিলেও পশ্চিমবাংলায় ঢুকতে তাদের কোনও সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বারে বারে পুলিশ ও প্রশাসনকে তারা অনুরোধ করলেও কাজ হচ্ছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা। জানা গেছে হুগলির খানাকুলের বাসিন্দা সমরেশ ও রবীন মন্ডল এবং হাওড়া জেলার দীনেশ মালিক ও রনজিত মন্ডল দিল্লিতে সোনার কাজ করেন। কয়েকদিন আগে রনজিতের বাবা মারা যান। কিন্তু সেই দিনই বাড়ি আসার জন্য উদ্যোগী হয় তারা। কিন্তু আইনী জটিলতার কারণে কিছুটা হলেও দেরিতে বের হতে হয় তাদের। বুধবার বিকালে তারা দিল্লি থেকে গাড়ি ভাড়া করে তাদের বাড়ি বাংলায় আসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।



বিভিন্ন রাজ্য অতিক্রম করে এলেও তাদের বাংলার বর্ডারে আটকে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাদের হাতে বিভিন্ন রাজ্যের প্রবেশমূলক সম্মতি রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাদের এ রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জানা গেছে, রঞ্জিতের বাবা কয়েকদিন আগে মারা যায় তাই। ওই চারজন এই রাজ্যে নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসছিল। কিন্তু বাংলার প্রশাসনের কোনও তৎপরতা তারা দেখতে পাচ্ছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন। একপ্রকার অনাহারেই তাদের কাটাতে হচ্ছে এ রাজ্যের সীমান্তে। তাদের রাজ্য সরকারের কাছে একটাই আকুতি তাদের যেন বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।


এ বিষয়ে সমরেশ মন্ডল জানিয়েছেন, তারা বারবার প্রশাসনের কাছে করজোড়ে আবেদন করেছেন হয় তাদের এ রাজ্যে ফিরিয়ে দেওয়া হোক, না হলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হোক। কিন্তু তাদের কোনও কিছুরই ব্যবস্থা করছে না। তার সহকর্মী রঞ্জিতের বাবা মারা গেছেন। তার জন্যই মূলত তাদের এরাজ্যে আসা। এমন এক বিপদের মুহূর্তে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না কেউই। রনজিত তার বাবার একমাত্র ছেলে স্বাভাবিকভাবে। বাবার শেষ কাজ করতে পারবেনা সে। পরিস্থিতি যা, তাতে করে তাদের পুনরায় দিল্লি ফিরে যেতে হবে। দিল্লির প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের একটি নির্দিষ্ট দিন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, সেই নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে তারা এ রাজ্যে ফিরতে পারছে না। এবার তাদের দিল্লি ফেরা ছাড়া উপায় কিছু নেই। রনজিতের আরও হতাশা তার বন্ধু রনজিত বোধহয় তার বাবার শেষ কাজ করতে পারবেনা। এখন দেখার এরাজ্যের প্রশাসন এই চারজনকে এ রাজ্যে ফেরাতে কতটা উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে।


Loading

Leave a Reply