জেলা

বাংলার কৃষকের ভিন রাজ্যে সম্পূর্ণ নিখরচায় জটিল অপারেশন হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে।

বছরখানেক আগেই প্রথম সমস্যাটা ধরা পড়েছিল আরামবাগ থানার সালেপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোঙ্গল এলাকার বাসিন্দা সমর মান্নার(৬২)। পেশায় চাষাবাদের সাথে যুক্ত সমরবাবুর শুরু হয় চিকিৎসা। পরে চিকিৎসকরা জানতে পারেন তাঁর একটি কিডনিতে পাথরের পাশাপাশি রয়েছে টিউমারও। এরপরই কোলকাতায় শুরু হয় ছোটাছুটি। সমরবাবুর অপারেশনের জন্য কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন। তবে চেন্নাইয়ের ভেলোরে তাঁর চিকিৎসা হলে খরচ কিছুটা কমতে পারে। তবে সেখানেও লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। সমরবাবুকে নিয়ে তাঁর মেয়ে খেয়ালী বাগ ভেলোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে গিয়েই তিনি জানতে পারেন তাঁর পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড সেখানে গ্রহণযোগ্য। অস্ত্রোপচারের ডেট নিয়ে খেয়ালীদেবী বাবাকে নিয়ে চলে আসেন আরামবাগের বাড়িতে। বাড়িতে এসে তিনি আমরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দীপক মাঝির সাথে যোগাযোগ করেন। দীপকবাবুকে তিনি জানান বাবার অপারেশনের জন্য অবিলম্বে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্রয়োজন। যা “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচিতে গেলেও হবে না।

দীপকবাবু বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আরামবাগ বিডিও অফিসে তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন পত্র জমা দেন। আর ঠিক ৫ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার খেয়ালীদেবী তাঁর বাবা সমর মান্না ও মা মমতা মান্নাকে নিয়ে হুগলি জেলাশাসক দপ্তরে এসে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করলেন। মহিলা হিসাবে মমতাদেবীর নামেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হল।

খেয়ালীদেবী বলেন, আগামী ১০তারিখ বাবাকে নিয়ে ভেলোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেব। পরের ৭দিনের মধ্যেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের দৌলতেই বাবার অস্ত্রোপচার হবে। এজন্য তিনি রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। কার্ড হাতে পেয়ে আবারও সুস্থভাবে বাঁচার আশা দেখছেন সমরবাবুও। কর্মধ্যক্ষ দীপক মাঝি জানিয়েছেন, তাকে বিষয়টি জানানোর পর তিনি ব্লকের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সাথে কথা বলে যাতে অতিদ্রুত ওই অসহায় পরিবারটিকে এই কার্ড পাইয়ে দেওয়া যায় তার জন্য তিনি তৎপর হন। অবশেষে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পেলেন বৃহস্পতিবার। ভেলোরে গিয়ে তিনি চিকিৎসা করাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় তারা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

Loading

Leave a Reply