ফিচার

বাঙালি যখন পুজোয় মাতবে তখন বাংলায় করোনার অবস্থান ঠিক কি হবে? আপনি কি পুজো দেখতে নিশ্চিন্তে বের হতে পারবেন? নাকি গৃহবন্দী থাকাই শ্রেয়? কি বলছে সমীক্ষা? জেনে নিন।

অন্যান্য বছর এই সময়টা নিউমার্কেট থেকে গড়িয়াহাট, আরামবাগ থেকে বর্ধমান, সব জায়গাতেই ভিড়ে ভর্তি থাকে।বাঙালি পুজোর কেনাকাটা করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। পাড়ায় পাড়ায় বাঁশের মণ্ডপ তৈরি। চরম ব্যর্থতা, ছুটোছুটি হুড়োহুড়ি, ক্লাবে ক্লাবে পার্কে পার্কে সুন্দরী রমণীদের উজ্জ্বল উপস্থিতি, পুজোর ক’দিন এর নানান রকমের হারিয়ে যাওয়ার নতুন স্বপ্ন, সবকিছুই প্রায় এবার জলাঞ্জলি হতে চলেছে। সৌজন্যে করোনাসুর।

আর সেই করোনার দাপট মা দুর্গার আগমনকালে কোথায় গিয়ে পৌঁছবে ভারতে , তা নিয়ে নয়া সমীক্ষার রিপোর্ট দিল হায়দরাবাদের বিটস পিলানি। এই মুহূর্তে ভারতে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক লাখ এর কাছাকাছি। শেষ 24 ঘণ্টাতেই ভারতবর্ষে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে 96000। এই মুহূর্তে সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 46 লক্ষ্যের উপর। সমীক্ষা বলছে পুজোর সময় যখন উৎসবে মেতে উঠবে বাঙালি ঠিক তখনই বিশ্বরেকর্ড গড়বে ভারত। আক্রান্তের সংখ্যা আমেরিকা কেও ছাড়িয়ে যেতে পারে পুজোর সময়। হয়তো এক কোটিরও অনেকটাই বেশি হবে।

এই পরিস্থিতিতে বাঙালি কি করে পুজো সামাল দেয় সেটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জের। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাঙালি করোনা নিয়ে খুব একটা ভাবিতো নয়, যেমন বাংলায় রাজনৈতিক নেতাদের করোনা হয় না। তারা প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটাচ্ছেন। তাদের জন্য সম্পূর্ণ রকম স্বাস্থ্যবিধির ছাড় দিয়েছে করোনা। কাজেই ধরে নেওয়া যায় এ রাজ্যের প্রশাসনের কল্যাণে পুজোর সময় করোনা কিছু বিশেষ ছাড় দেবে।

তা যদি না হয় যদি বিজ্ঞানকে গুরুত্ব দিতে হয় তাহলে যে পুজোর সময় সারা দেশের মধ্যে বাংলার অবস্থা সবথেকে ভয়াবহ ও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে তা একপ্রকার নিশ্চিত। কাজেই জনগণকে ভাবতে হবে প্রশাসনের খামখেয়ালিপনায় ঠকবেন নাকি নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। সব মিলিয়ে পুজোর সময় করোনাসুরের রক্তচক্ষু বারবে বৈ এতটুকুও কমবে না।

Loading

Leave a Reply