এম.আর বাঙ্গুর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা ৫ জন রোগীর মৃত্যু ! কি কারনে মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃতদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে সংবাদ লেখার আগে শেষ পাওয়া খবরে রিপোর্ট এখনও হাতে এসে পৌঁছয়ানি।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে শহরের একটি নামজাদা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মোট ১৫ জনকে অসুস্থতার কারনে বাঙ্গুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁদেরও টালিগঞ্জের সরকারি হাসপাতালে শুরু হয়েছে চিকিৎসা। কারও ছিল শ্বাসকষ্ট আবার কারও ছিল অন্য কোনও রোগ। এমনই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি ছিলেন মৃত ওই ৫ জন। বৃহস্পতিবার রাতে বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীনই মারা যান। বিভিন্ন মহলে কানাঘুষো আলোচনা শুরু হয়েছে, তবে কি নিহতেরা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ! যদিও এই বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
কারণ, নিহত ওই ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট হাতে আসেনি। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ওই ৫ জনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।তবে বিশেষ সূত্রের খবর, ওই ১৫ জনের মধ্যে একজন রাজ্যের শীর্ষস্তরের আমলার স্ত্রীও রয়েছেন। তাঁদেরও এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সহকারী সুপার ও নার্সের পর করোনা পজিটিভ হাওড়া হাসপাতালের সুপারও। তিনিও বর্তমানে টালিগঞ্জের এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা অবশ্য স্থিতিশীল। আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের শ’দুয়েক কর্মী ও শীর্ষ আধিকারিককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাঁদের দিকে নজর রেখেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।