স্বাস্থ্য

বাজারে গেলে নিজেকে সুরক্ষিত করার সাথে সাথে বাজারজাত জিনিসপত্রকেও জীবাণুমুক্ত করুন

করোনা আতঙ্কের জেরে আমাদের বাজারের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতে হচ্ছে। আর ভাইরাস থেকে বাঁচতে নিজেরা গ্লাভস-মাক্স ঢেকে সুরক্ষিত করে তবেই আমরা বাজারে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা খেয়াল করছি কি বাজার থেকে যা আমরা নিয়ে আসছি তা কতটা সুরক্ষিত? বাজার থেকে আনা জিনিসপত্র আমরা কতটা জীবাণুমুক্ত করতে পারছি? এবার বাজার থেকে আনা জিনিসগুলো জীবাণুমুক্ত কি-না তা নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ।

লন্ডনের স্কুল ফর হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের অধ্যাপক স্যালি ব্লুমফিল্ড বলেন, ‘ভাইরাস ছড়ানোর একটা উর্বর ক্ষেত্র হল বাজার। বাজারে আপনি যেসব পণ্যে কিনছেন সেগুলো আপনার আগে আরও অনেকে নাড়াচাড়া করেছে। যেখানে টাকা দিচ্ছেন সেখানে আরও লোকের হাত পড়েছে। নগদ অর্থে দাম পণ্য কিনলে যে খুচরা ফেরত দেওয়া হচ্ছে সেগুলোও কিছুক্ষণ আগে অনেক হাত ঘুরে এসেছে। আপনি যদি এটিএম মেশিন থেকে পয়সা তুলে থাকেন, সেখানেও মেশিনের বোতামে আপনার আগে কারও হাত পড়েছে। এরপর রয়েছে বাজারে আপনার ধারেকাছে দাঁড়ানো মানুষরা।’

অধ্যাপক স্যালি ব্লুমফিল্ডের পরামর্শ, ‘বাজারে যাওয়ার আগে ও বাজার থেকে ফিরে এসে সাবান ও জল দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে ভালো করে হাত ধোবেন বা অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করবেন। সুযোগ থাকলে নগদ অর্থ ব্যবহার না করে কার্ড ব্যবহার করবেন। তবে কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছুটা ঝুঁকি আছে। তাই কার্ড ব্যবহারের সময় দোকানের কলম ব্যবহার বা পিন নম্বর দেওয়ার জন্য বোতাম চাপতে হলে পাওনা চুকিয়ে দেওয়ার পর হাত ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে।’ অধ্যাপক স্যালি ব্লুমফিল্ড আরও বলেন, ‘রান্না খাবারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রিমণের ঝুঁকি নেই। তবে কাঁচা শাকসবজি, ফলমূলের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকে। এগুলো সবকিছু ভালো করে কলের ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে শুকিয়ে তারপর সেগুলো ব্যবহার করবেন। আর প্লাস্টিকের প্যাকে, টিনে বা কাঁচের পাত্রে বিক্রি হচ্ছে এমন কিছু কিনলে সেগুলো ৭২ ঘণ্টা না ছুঁয়ে সরিয়ে রেখে দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করতে চাইলে সেগুলো জীবাণুমুক্ত করার তরল পদার্থ (ব্লিচ জাতীয় ডিসইনফেকেটন্ট) দিয়ে মুছে নিন। তবে কড়া ব্লিচ ব্যবহার করবেন না। বোতলের গায়ে দেখে নেবেন কতটা পরিমাণ জল মিশিয়ে তা হালকা করে নিতে হয়।’

Loading

Leave a Reply