জেলা

বান্ধবী এড়িয়ে চলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ, গ্রেপ্তার যুবক

ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফোনে যোগাযোগ না করায় এবং সম্পর্ক না রাখায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বান্ধবীকে কোপালো বন্ধু। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চসায়র থানা এলাকার শহিদ স্মৃতি কলোনিতে। বছর তিরিশের যুবক অশোক দাসকে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে একই পাড়ায় বসবাস করা অশোক দাসের সাথে সম্পর্ক ছিল ওই মেয়েটির। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে অশোক দাস বিবাহ করে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি ব্রেষ্ট ক্যান্সারে অাক্রান্ত। দুবার অস্ত্রপ্রচারও হয়েছে। জানা গেছে সেই কারণেই যুবকটিকে এড়িয়ে যাচ্ছিল মেয়েটি। যুবকটি বুঝতে পারে মেয়েটি কোনওভাবেই আর তার সাথে সম্পর্ক রাখবে না। তখন ডিসেম্বর মাসে যুবকটি বিয়ে করে। কিন্তু তার পরেও মেয়েটির সাথে যোগাযোগ রাখতে চায় সে। কিন্তু মেয়েটি কোনওভাবে রাজি না হওয়ায় ক্রোধের বশে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

সম্পর্ক ঠিক করার কারণে বেশ কয়েকবার মেয়েটির বাড়িতেও এসেছিল ওই যুবক। তাতেও মেয়েটি কোনওভাবেই রাজি হয়নি। মেয়েটি বাড়িতে থাকতেন তিন দাদা এবং বৃদ্ধ মায়ের সাথে। বোনের বিবাহ হলেও বিয়ে করেনি দিদি। পুলিশ জানিয়েছে, জখম অবস্থায় মেয়েটি ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। সূত্রের খবর ওইদিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ শহিদ স্মৃতি কলোনী বি ব্লক থেকে পঞ্চসায়র থানায় ঘটনার কথা জানিয়ে ফোন যায়। ঘটনাযস্থলে গিয়ে দেখা যায় আক্রান্ত বছর ২৬ এর মহিলাটি রক্তে ভিজে ছটফট করছে মাটিতে পরে। অপরদিকে অশোক স্থির হয়ে বসে আছে। আর পাশেই পড়ে আছে রক্তমাখা একটি ধারালো ছুরি। যে ছুরি দিয়ে অাঘাত করা হয়েছে মেয়েটিকে। পাশে দাঁড়িয়ে আছে পরিবারের লোকজন। পরিবারের লোকজন জানায় ওই যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে মেয়েটিকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর মেয়েটির গায়ে ১২টি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। শরীরের ডান দিকে এবং পিছনের ক্ষত বেশ দৃঢ়। ফুসফুসে আঘাতের সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

তবে রক্তপাত খুব দ্রুত বন্ধ করা গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছে। তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছে অশোক জেরায় স্বীকার করেছে ঘটনার কথা। সে জানায় সম্পর্কে ইতি হয়েছে জেনে ডিসেম্বর মাসে বিয়ে করেছে। কিন্তু তার পরেও যোগাযোগ করতে চাইলে মেয়েটি রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে। মোয়েটির পরিবারের তরফে জানায় পাড়ার ছেলে হওয়ার কারণে বাড়িতে আসায় বাধা দেয়নি কেউ। ঘটনার সময় মেয়েটি বাড়িতে একাই ছিল। মেয়ের চিৎকার শুনে বাড়ির লোক ছুটে এসে ঘটনাটি দেখতে পায়। তবে অভিযুক্তর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

Loading

Leave a Reply