গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিজের সাত বছরের মেয়ের অস্ত্রোপচার করেছিলেন তিনি। তাঁর মেয়ের হাঁটুর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সে সময়ই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয় । শিশুটিকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি । বাবার তত্ত্বাবধানেই মেয়ের মৃত্যু হয়। নিজের হাত দিয়েই মরে গিয়েছিল ছোট্ট মেয়েটা । এই চরম হতাশা সহ্য করতে পারেননি চিকিৎসক । আর তার সঙ্গে উপরি পাওনা হিসাবে জুটেছিল, লোকের গালমন্দ, কটূক্তি, নোংরা ভাষায় তীব্র আক্রমণ, ব্যঙ্গ । একে চিকিৎসক হয়েও নিজের সন্তানকে হারানোর যন্ত্রণা, তার উপর একের পর এক আক্রমণ, স্থির থাকতে পারেননি বছর পঁয়ত্রিশের অনুপ কৃষ্ণ।
নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো চরম সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেন তিনি জানা গিয়েছে, বাবার তত্ত্বাবধানেই মেয়ের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় । কেউ কেউ লেকেন, বাবা নিজেই মেয়েকে খুন করেছেন। কেউ কেউ অনুপ’কে ‘অপরাধী’ বলে দাগিয়েও দেয় । গত বৃহস্পতিবার কোল্লাম জেলার কাদাপ্পাকাড়াতে তাঁর বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়। কিলিকোল্লুর এলাকার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । বাড়ির বাথরুমের দেওয়ালে ‘সরি’ লিখে রেখেছিলেন অনুপ ।