রাজ্য

বার বার করনা রিপোর্ট ভুল প্রমাণিত হওয়ায় জেরবার হচ্ছেন অনেকেই। তাই এবার আদালতের দ্বারস্থ বিচারক।

এবার কাঠগড়ায় সল্টলেক আমরি। অস্ত্রোপচার জন্য ভর্তি হন সল্টলেক জয়েন্ট এন্ড বোন কেয়ারে। অস্ত্রোপচার আগে বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্ট করতে বলা হয়। ২৭ অগাস্ট নন্দিতা দেবীর করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২৮ অগাস্ট সল্টলেক আমরি হাসপাতাল নন্দিতা মজুমদারের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট দেয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনা ‘পজিটিভ’ থেকে ‘নেগেটিভ’। অবশেষে ‘বিচার’ চাইছেন বিচারক। ভুল রিপোর্টের গেঁরোয় প্রাক্তন জেলা বিচারক। আরামাবাগের অতিরিক্ত জেলা বিচারক থেকে স্বেচ্ছা অবসর নেন নন্দিতা মজুমদার কয়েক বছর আগে। ৬৮ বছর বয়সে অগাস্টের মাঝামাঝি পড়ে গিয়ে ডান পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি। ডান পায়ের গোড়ালি অংশ ফ্রাকচার হয়।

অস্ত্রোপচার জন্য ভর্তি হন সল্টলেক জয়েন্ট এন্ড বোন কেয়ারে। অস্ত্রোপচার আগে বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্ট করতে বলা হয়। ২৭ অগাস্ট নন্দিতা দেবীর করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২৮ অগাস্ট সল্টলেক আমরি হাসপাতাল নন্দিতা মজুমদারের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট দেয়। রিপোর্ট পজেটিভ দেখে সকলেই চিন্তায় পড়ে যান। দক্ষিণ কলকাতার  ফ্ল্যাটে অস্ত্রোপচার না করিয়েই ফিরতে হয়। এরপর কার্যত করোনা তকমায় দিকবিদিকশুন্য হয়ে পরিবার।স্বামীর কিছু কোমর্বিডিটি থাকায় আলাদা হয়ে যান নন্দিতা দেবীর থেকে। মা উঠতে, হাঁটতে পারেন না, সঙ্গে করোনা ধরা পড়ায় মায়ের চিকিৎসা কে করবেন তাই নিয়ে তৈরি হয় সমস্যা।মেয়ে সুমন সহনাবিশ মা’র সঙ্গে থাকেন। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে আবারও করোনা পরীক্ষা করান নন্দিতা দেবী।সেই রিপোর্ট আসে ৩০ অগাস্ট।  ইউনিপথে করা করেনা পরীক্ষায় জানানো হয় করেনা রিপোর্ট নেগেটিভ। তবু নিজেকে পর্যবেক্ষণে রাখেন প্রাক্তন বিচারক। ৬দিন পর অ্যান্টিবডি টেস্ট আইজি জি করান নন্দিতা মজুমদার। রিপোর্টে জানানো হয় করোনা অ্যান্টিবডি নেই নন্দিতা দেবীর শরীরে।অর্থাৎ কোনওদিনই করোনায় আক্রান্ত হননি তিনি। এরপর পায়ের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে প্রাক্তন বিচারকের। একটু একটু করে হাঁটছেন তিনি। তবে ভুল রিপোর্টের গেরোয় ৩দিন, ৭২ঘন্টা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে হয় তাঁকে। প্রাক্তন বিচারক নন্দিতা মজুমদার চাইছেন এমন  ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হোক। তিনি আরও জানাচ্ছেন, “নামকরা হাসপাতালের করোনা রিপোর্ট করা হোক আন্তরিকতা ও গুরুত্ব সহকারে।”

মেয়ে সুহনা সহানবিশ হাইকোর্টের আইনজীবী। তিনি জানালেন,” শীঘ্রই ভুলের বিচার চেয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।”করোনা কালে একাধিক স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন। আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ি বলছেন, ” একটা ভুল রিপোর্ট একটা পরিবারকে শেষ করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কমিশনের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”সল্টলেক আমরি হাসপাতাল কর্তপক্ষ জানিয়েছে, আরটি পিসিআর(ট্রুনাট) কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট সচরাচর ভুল(false) হয়না। কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট এলে তা অনেক সময় ভুল(false) হয়।

Loading

Leave a Reply