বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই এবার গাছের ডালকেই হোম কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে বেছে নিয়েছেন বলরামপুর থানার ভাঙ্গিডি গ্ৰামের চেন্নাই ফেরত সাত যুবক। ওই গ্ৰামের সাত চেন্নাই ফেরৎ যুবক মঙ্গলবার থেকে গ্রামের একেবারে প্রান্তে একটি গাছের উপর রয়েছেন। গাছের তলায় তাদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন পরিবারের লোকজন।
জানা গিয়েছে, ভাঙ্গিডি গ্ৰামের ওই সাত যুবক চেন্নাইয়ে যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। গত রবিবার কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়ে দেন, লকডাউনের ফলে কারখানা বন্ধ করা হচ্ছে। সেদিনই সাত যুবক বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে ওঠেন। সোমবার তাঁরা বরাভূম স্টেশনে পৌঁছান ও বলরামপুরের বাঁশগড় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাঁদের মেডিক্যাল চেক আপ হয়। চিকিৎসক তাঁদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেন। ওই যুবকরা বলেন, মঙ্গলবার গ্ৰামের প্রান্তে গিয়ে দেখি গ্রামের লোকজন সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। গ্রামবাসী আমাদের জানান, খাটিয়া, বাঁশ ও দড়ি দিয়ে গ্ৰামের প্রান্তে বিশাল একটি গাছের ডালে ডালে শক্ত করে দড়ির খাটিয়া বানিয়ে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপর থেকেই ওই গাছেই আমরা রয়েছি। বাড়ির লোক প্রতিদিন সময়মতো গাছের তলায় খাবার দিয়ে যায়।
এবিষয়ে বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, বিষয়টি শুনেছি। বাড়িতে আলাদা থাকার মতো জায়গা না থাকার জম্যই ওরা গাছেই থাকতে বাধ্য হয়েছেন। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে তাঁদের সরকারি কোনও জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়।