জেলা

বিজেপি নেতার কাঠের গোডাউনে চালচক্রের নয়াকাণ্ড, বিতর্ক

এক বিজেপি কর্মীর কাঠের গোডাউন থেকে সরকারি চাল অন্য বস্তায় ভরে পাচার হচ্ছিল। সেই সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর অভিযোগে ভিত্তিতে গোডাউনটি সিল করে দিয়েছে ধানতলা থানার পুলিস। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রানাঘাটের দত্তফুলিয়ায়।

তৃণমূলের দাবি, সকালে পঞ্চায়েত প্রধান বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিলেন। তখন পঞ্চায়েত সদস্য অজিত মাল তাঁকে ফোন করে বলেন, বিজেপি কর্মী ননী সাহা তাঁর কাঠের গোডাউনের ভেতর সরকারি চাল বস্তা থেকে বের করে অন্য বস্তায় ভরছেন। তাঁকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। তিনি গিয়ে দেখেন, সরকারি বস্তায় কিছু চাল রয়েছে, বাকি চাল অন্য সাধারণ বস্তায় ভরা হয়েছে। ননী পালিয়ে যান। তিনি এখানে সক্রিয় বিজেপি কর্মী। এই লোকসভা নির্বাচনেও তাঁকে বিজেপির হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, আমরা ধানতলা থানায় খবর দিই। পুলিস এসে ক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। গোডাউনটি সিল করে দেয়। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করেছি, কীভাবে রেশনের সরকারি চালের বস্তা ননীর কাছে এল,‌ তার নিরপেক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‌আমরা অনেক দিন ধরে সন্দেহ করছিলাম। সামনে কাঠের গোডাউন কিন্তু মাঝেমাঝে চালের বস্তা গোডাউনের পেছন দিক থেকে যাচ্ছে। কোথায় যায়, তা দেখার জন্য তালে তালে ছিলাম। আজ হাতেনাতে ধরা পড়েছে। আমরা ননী সাহার কঠোর শাস্তি চাই।

তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক সমীর পোদ্দার জানিয়েছেন, ‌বিজেপি নেতারা সবসময় ওপরের দিকে আঙুল তোলেন। নিজেরা যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন, তা তো আমাদের পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য হাতেনাতে ধরে দেখিয়ে দিয়েছেন। ননী সাহা যে বিজেপি করেন, এটা কেনা জানে !‌ আমি প্রশাসনকে বলেছি, তদন্ত করে এর উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।

Loading

Leave a Reply