জামাটায় এখনও চাপ-চাপ রক্তের দাগ। হাত-পিঠ জুড়ে ক্ষতের চিহ্ন। সারাটা রাত বছর ১৪-র ছেলেটা বিছানায় শুয়ে যন্ত্রনায় ছটফট করেছে। না, লকডাউনে রাস্তায় বেড়িয়ে অবশ্য পুলিশের লাঠির আঘাত নয় ! ছোট্ট শুভদীপের এই অবস্থার সৌজন্যে তাঁর নিজেরই গৃহশিক্ষক। ব্যান্ডেল চার্চের কাছে পালপাড়া অন্নপূর্ণা কলোনির দম্পতি গৌতম ও সোমা দাসের একমাত্র সন্তান শুভদীপ দাস। শুভদীপ ব্যান্ডেল সেন্ট জন্স স্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র। তাঁর বিজ্ঞান বিভাগের গৃহশিক্ষক সুদীপ্ত পাল। বুধবার সকালে শুভদীপ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সুদীপ্তর বাড়ি কেওটার মালাকার পাড়ায় পড়তে যায়। অভিযোগ সেখানেই সুদীপ্ত পাশবিকভাবে বিদ্যুতের তার দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। বাড়ি ফিরে শুভদীপ অসুস্থতা বোধ করায় মায়ের সন্দেহ হয়। মা জিজ্ঞাসা করতেই শুভদীপ বিষয়টি খুলে বলে।
এরপরই শুভদীপকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে ভর্তি নিয়ে নেওয়া হয়। শুভদীপের বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রী এবং মা পেশায় পরিচারিকা । তাঁরা উপস্থিত হন চুঁচুড়া থানায়। যদিও স্থানীয়দের কাছে করোনার কথা শুনে রাতে হাসপাতাল থেকে বন্ড সই দিয়ে শুভদীপকে বাড়ি নিয়ে যায় তাঁর বাবা-মা। তাই এদিন সন্ধ্যায়ই তাঁরা থানায় যেতে পারেনি। ইতিমধ্যে শুভদীপের মাসতুতো দাদা শুভদীপের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে। যার জেরে রাতে ম্যাসেঞ্জারে তাঁর দাদাকে নিয়ে রীতিমত মসকরা করে সুদীপ্তর এক বন্ধু। সারাটা রাত বাড়িতে শুয়েই যন্ত্রণায় ছটফট করে শুভদীপ। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সুদীপ্ত পাল ভুল স্বীকার করেন।