জেলা

বিনা পণে বিয়ের শপথ নিলেন ৮১ জন যুবক

বিনা পনে বিয়ে করার শপথ নিল ৮১ জন ছাত্র-যুবক। রামপুরহাটে জমায়েত ইসলামী হিন্দের উদ্যোগে আয়োজিত অভিশপ্ত পণপ্রথা ও প্রতিকার শীর্ষক আলোচনায় ৮১ জন ছাত্র যুবক এমনই শপথ গ্রহণ করলেন। পণপ্রথা যখন ভারতবর্ষে একটি অভিশপ্ত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখনই রামপুরহাটে ইসলামী হিন্দের এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি ডাঃ আমিন আহমেদ, মাড়গ্রামের মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মুফতি মাহফুজ হোসেন, নলহাটি হীরালাল ভকত কলেজের অধ্যাপক ডক্টর চৈতন্য বিশ্বাস, রামপুরহাট আদালতের আইনজীবী অনিন্দ্য কালি সিনহা, শিক্ষক প্রণয়রঞ্জন সরকার প্রমূখ। দু’ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন আলোচনার পরে ৮১ জন ছাত্র-ছাত্রী সিদ্ধান্ত নেন ভবিষ্যতের কলংকময় ভারতবর্ষকে মুক্ত করার জন্য তারা নিজেরা বিয়ের সময় পণ নেবেন না এবং যে সমস্ত বিয়ের অনুষ্ঠান পণ গ্রহণ করে হবে সেই সমস্ত বিয়ের অনুষ্ঠান তারা বয়কট করবেন।

আব্দুল আব্দুর রহমান নামে এক পণপ্রথা বিরোধী যুবক জানান, পণ নেওয়া আইনবিরুদ্ধ। মানবিক দিক থেকে দেখতে গেলে অভিভাবকদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয় অনেক ক্ষেত্রে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই পণ প্রথার বিরোধী হয়ে উঠতে এবং সমাজকে পণ মুক্ত করে তুলতে। আর তাই আমরা শপথ নিলাম পণ নিয়ে বিয়ে করব না এবং পণ নেওয়া বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করব না। পণ বয়কটে অংশ নেওয়া ৮১ জনের মধ্যে আরও একজন দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র সোমনাথ মার্জিত জানান পণ দিতে গিয়ে অনেক সময়ই বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হয় অভিভাবকদের। আমরা রাস্তায় নেমে পণ প্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলব। ডাক্তার আমিন আহমেদ বলেন, পণপ্রথার মতো এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সমাজ থেকে বিতাড়িত করার জন্যই এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেভাবে ছাত্ররা বিনা পণে বিয়ে করার শপথ নিল এভাবে যদি সমস্ত সমাজ জাগ্রত হয় এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিরা সকলে এক হয়ে পণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তাহলে সমাজ আরও এগিয়ে যাবে। আর তার সাথে এই জঘন্য প্রতারণার অবলুপ্তি ঘটবে। এখন দেখার ৮১ জন ছাত্র-ছাত্রী আরও কত জনকে তাদের দলে টানতে পারে। সমাজ সচেতনতার লক্ষ্যে এই ছাত্র-যুবকদের উঠে দাঁড়ানোর উদ্যোগে প্রশংসা পেয়েছে এই ইসলামী হিন্দ সংগঠনটি।

Loading

Leave a Reply