জেলা

বিবাহিতা মহিলা একইসাথে দেওর ও জামাইবাবুর সাথে প্রেমে পড়ার পরে ঘটে গেলো চরম পরিনতি।

বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই পড়শি দেওর ও দূরসম্পর্কের জামাইবাবুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল গৃহবধূর। আর তারই খেসারত দিতে হল বধূকে। প্রেমিকের ছুঁড়ে দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল কয়েক বছরের ভালোবাসা। হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন লড়াই চালানোর পর জীবনযুদ্ধে পরাজিত গোঘাটের যুবতী তথা মেদিনীপুরের গৃহবধূ চৈতালী পণ্ডিত।

জানা গেছে, গোঘাটের হরিহর গ্রামের চৈতালির প্রায় ১২ বছর আগে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় চন্দ্রকোনা থানা এলাকার বাচ্চু পন্ডিতের। তাদের ২ সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি, বেশ কয়েকদিন আগে থেকে চৈতালি পড়শী দেওর ও দুর সম্পর্কে জামাইবাবু অভিজিৎ মন্ডলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি বিবাহিত অভিজিতের স্ত্রী সহ তার পরিবারের লোকজন। কয়েকদিন আগে অভিজিতের পরিবারের লোকজন চৈতালির ওপর চড়াও হয় ও বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর চৈতালী অভিজিৎকে এই সম্পর্ক থেকে দূরে সরে যাওয়ার কথা জানায় বলে খবর। প্রেমিকা হারাতে হবে এই হতাশা থেকে অভিজিৎ তার প্রেমিকা বধূর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দেয়। অভিযোগ, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে কাজে লাগিয়ে অভিজিৎ চৈতালি রায় কেরোসিন তেল ঢেলে দিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয় মানুষেরা তাকে উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসা চলাকালীন মারা যায় চৈতালি।

এ বিষয়ে চৈতালির স্বামী বলে, মাঝে মাঝে তার স্ত্রী অভিজিতের সাথে ফোনে কথা বলত। কিন্তু তারপরেই এই পরিণতি হবে সে ভাবতেও পারেনি।
অন্যদিকে, চৈতালির এক আত্মীয় বলে চৈতালির স্বামী হিমঘরে কাজ করে। খুব সহজ সরল জীবনযাপন ছিল তাদের। তাই বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে কাজে লাগিয়ে গায়ে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সমস্ত বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পড়শী অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পরকীয়াকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছে সরকার। আর পরকীয়া সম্পর্কের পরিণতি যে কি হয় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা। আর এর জেরেই নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মনে।

Loading

Leave a Reply