বিশ্ব

বিমান চালকের রেস্তোরাঁ। চাকরি যাবার কারনে এখন রেস্তোরাঁই ভরসা।

করোনা আবহে (Corona Pandemic) বহু বিমান চালকেরই চাকরি চলে গিয়েছিল। তাঁদেরই একজন ছিলেন মালয়েশিয়ার (Malaysia) কুয়ালালামপুরের বিমান চালক আজরিন মহম্মদ জাওয়ায়ি। শেষপর্যন্ত সংসার সামলাতে রাস্তার পাশে খাবারের দোকানই খুলে বসেন। নাম দেন ‘Kapten Corner’। প্রত্যেকদিন দোকানে রান্না করতে শুরু করেন বিমান চালকের পোশাক পরেই। বলা বাহুল্য, তাঁর রান্নার হাতটিও কিন্তু দুর্দান্ত। আর তাই কয়েকদিনের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছেন তিনি।

মাথায় কালো টুপি। গায়ে সাদা পোশাক। দূর থেকে দেখলেই বোঝা যাবে কোনও বিমানের চালক। কিন্তু এ কী!‌ সাদা পোশাকের উপর আবার অ্যাপ্রন। বিমানের কন্ট্রোলারের জায়গায় হাতে রান্নার সরঞ্জাম। আশপাশের পথচলতি মানুষরাও অবাক। একটি ছোট রেস্তরাঁর মতো দোকানে কি না রান্না করছেন একজন বিমান চালক (Pilot)!‌ শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি কিন্তু সত্যি।এর মধ্যেই একদিন তাঁর বিমান চালকের পোশাক পরে রান্না করার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তাঁর স্ত্রী। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় তা। এরপর গ্রাহকও বাড়তে থাকে আজরিনের। এর পাশাপাশি তাঁর অসাধারণ রান্নারও প্রশংসা করেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানে রীতিমতো সেলিব্রিটিও বনে গিয়েছেন এই বিমান চালক। নেটিজেনদের অনেকেই আবার তাঁর এই লড়াকু মানসিকতারও প্রশংসা করেছেন।

এই প্রসঙ্গে আজরিন জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে বহু এয়ারলাইন্স বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। অনেক বিমান চালকেরই চাকরি চলে যায়। তাঁদেরই একজন আজরিন। এদিকে, চার সন্তান থাকায় সংসার খরচও ছিল বেশি। শেষপর্যন্ত নিরুপায় হয়ে রাজধানী কুয়ালালামপুরের (Kuala Lumpur) একটি রাস্তার পাশে খাবারের দোকানই খুলে বসেন ৪৪ বছর বয়সি আজরিন। নিজেই রান্না করেন নুডলস–সহ বিভিন্ন মালয়েশিয়ান ফুড।

Loading

Leave a Reply