বিল মেটাতে দেরি হওয়ায় চিকিৎসা বন্ধের অভিযোগ। এর জেরে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর। ঘটনায় উত্তেজনা দূর্গাপুর হাসপাতালে।দুর্গাপুরের কালীগঞ্জের বাসিন্দা নাসিম মণ্ডল পরিবারের অভিযোগ, ওই বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা বাবদ বিলের টাকা জমা করতে দেরি হওয়ায় হাসপাতালের এমারজেন্সির সামনে রোগীকে বসিয়ে রাখা হয়। সেই সময় নাসিম মণ্ডলের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়। রোগীর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন যাতে তাঁকে তাড়াতাড়ি অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই অনুরোধে কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। সেই কারণেই নাসিমের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালের সামনেই মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তা নিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে রোগীর পরিবার পরিজনদের বচসা শুরু হয়। ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালে সামান্য ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
উল্লেখ্য, এই মাসের ১৩ তারিখ দুর্গাপুরে একটি প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হোল্ডারদের বা দুঃস্থ রোগীদের সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অন্যথা হলে থানা বা জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের হওয়ামাত্র অভিযুক্ত হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমনকী ভবিষ্যতে তাদের লাইসেন্স বাতিলও করা হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির পরও এই বেসরকারি হাসপাতালের এই অমানবিক আচরণের সমালোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে।