করোনা নিয়ে এই মুহূর্তে ভারত ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে? ভারতীয়দের মধ্যে করোনা সংক্রমণের প্রবণতা এই মুহূর্তে ঠিক কতটা? এই নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানান কথা বলছেন। ইতিমধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য নিয়ামক সংস্থা ভারতকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছে। ভারতে এই মুহূর্তে করোনার স্টেজ 2 চলছে।এই পর্যায়ে মূলত বাইরে থেকে মানুষরা আক্রান্ত হয়ে ভারতে এসেছে বা তাদের সংস্পর্শে থেকে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। কিন্তু এর পরের পর্যায়টি সবথেকে বেশি ভয়ঙ্কর। তাহলে স্টেজ থ্রি।চিন বা ইতালিতে যে পরিস্থিতি এখন চলছে তা করোনা ভাইরাসের স্টেজ থ্রি। অর্থাৎ সেখানে একটা বিশাল সংখ্যক জনজাতিকে আক্রমণ করছে এই ভাইরাস। জনজাতির মধ্যেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। তবে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার গতি যদি স্তব্ধ করা যায়, তাহলে ভারতে ইতালি বা চীনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না।
স্বাভাবিকভাবেই আগামী 15 দিন ভারতবর্ষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়কালে ভারত সংক্রামক ছড়ানো থেকে নিজের দেশের মানুষকে আটকাতে পারে তাহলে এখানে করোনার মহামারী রূপ ধারণ করার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। আর যদি এই সময়কালের মধ্যে আক্রান্ত মানুষদের থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ভারতবর্ষজুড়ে মহামারী রূপ নিতে পারে এই ভাইরাস।বিশেষজ্ঞদের দাবি, যে পরিস্থিতি চলছে, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘কোয়ারেন্টাইন’ ভালো উপায়। কোনও মতেই স্বাস্থ্যকর পন্থার বাইরে গিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়। যাতে কোনও মতেই ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ বা গোষ্ঠী আক্রমণ না হয় এই ভাইরাসে তার চেষ্টা সকলকে করতে হবে।
তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতবর্ষজুড়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয়েছে। জমায়েত বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিনেমা থেকে শপিং মল থিয়েটার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে। স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা হয়েছে। সব থেকে বড় কথা সামান্য জ্বর ও সর্দি কাশিতে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন 130 কোটির দেশ তাকিয়ে কতটা করোনার মোকাবিলা করা যায় সেই দিকেই।