দেশ

বিশ্বকাপ জয়ের পর সতীর্থদের কাঁধে মাঠ প্রদর্শন, দুই দশকের সেরা মুহূর্তের জন্য লরিয়াস পুরস্কারে ভূষিত শচীন

২০১১ সালের ২ এপ্রিল দীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছিল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। ২২ বছরের অপেক্ষার পর বিশ্বকাপ ছোঁয়ার স্বপ্ন সত্যি হয়েছিল ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের। সেই বিশ্বকাপ জয়ের রাতে বিরাট কোহলি, সুরেশ রায়না, ইউসুফ পাঠানের মতো সহ খেলোয়াড়দের কাঁধে চড়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেছিলেন শচীন। সেই দৃশ্য আজও প্রত্যেক ভারতবাসীর মনের মণিকোঠায় সযত্নে গেঁথে রয়েছে। সেই অপূর্ব দৃশ্য বিচারকদের বিচারে দু’দশকের সেরা মুহূর্ত নির্বাচিত হয়েছে। সেটাই সচিন তেন্দুলকারকে এনে দিল লরিয়াস পুরস্কার। বার্লিনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে শচীনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক স্টিভ ওয়া। পুরস্কার জেতার পর শচীনের প্রতিক্রিয়া, অবিশ্বাস্য।

বিশ্বকাপ জয়ের পর কী অনুভূতি হয়েছিল তা আমার পক্ষে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। তবে আমার মতো প্রত্যেক ভারতবাসী সেদিন আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। স্মৃতির সরণী বেয়ে আজও ওয়াংখেড়ের ওই রাতের কথা মনে পড়লে রোমাঞ্চিত হই। বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতির কথা শচীনকে এদিন জানতে চান অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বরিশ। অনুষ্ঠান মঞ্চে শচীন বলেন, ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল। তখন আমার বয়স দশ বছর। এর অনুভূতি তখন বুঝতে পারিনি। তবে আশেপাশের সকলের সঙ্গে আমিও সেলিব্রেশনে মেতেছিলাম। বুঝেছিলাম বিশেষ কিছু একটা হয়েছে। পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেও ট্রফি জয়ের স্বপ্ন অধরা ছিল। তবে এই স্বপ্ন নিজের ভিতর সযত্নে লালন পালন করেছি। অবশেষে বিশ্বকাপ জয়ের পর নিজেকে ভারতবাসীর প্রতিনিধি মনে হয়েছিল। এই পুরস্কার জয়ের পর বর্তমান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি টুইট করে শচীনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

Loading

Leave a Reply