করোনার সময় স্কুলের ফিজ কিভাবে কোথায় কোথায় ছাড় দেয়া যায় তা নিয়ে স্কুল গুলিকে বিশেষ কমিটি তৈরি করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তাতে অভিভাবকরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। কারণ এর আগে একটা জেনারেল কমিটি তৈরি করা হয়েছিল স্কুল ফিজের বিষয় নিয়ে। এবারে পর্যালোচনা করার জন্য স্কুল ভিত্তিক কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দিল এবং যেখানে অবশ্যই অভিভাবকদের প্রতিনিধি থাকতেই হবে।
স্কুল ফিজ বৃদ্ধির মামলায় ১৪ ই সেপ্টেম্বর রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট। বেসরকারি স্কুলের আয়-ব্যয় খতিয়ে দেখে কোথায় কত ছাড় দেওয়া যেতে পারে তার একটি বিশেষ রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টে। অভিভাবকদের অভিযোগ ছিল এই করোনা পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের চরম ভোগান্তি, তার সাথে স্কুলের ফিজ। অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকদের ঠিকমতো পেট চালানোর সামর্থ্য থাকছে না। অথচ স্কুলের ফিজ দিতেই হচ্ছে, বাসের ফিজ দিতে হচ্ছে অভিভাবকদের। এমনকি লাইব্রেরী ফিজও দিতে হচ্ছে। এইগুলো ক্ষেত্রে অসঙ্গতি দেখেছেন অভিভাবকরা। তার জন্যই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তারা। হিসাব বহির্ভূত টাকা অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়। তার সঠিক অনুসন্ধান চেয়েছিলেন’ অভিভাবকরা। এমনকি অভিভাবকদের আরও বক্তব্য স্কুলে যদি ৫০ শতাংশ টাকা নেওয়া হতো অথবা শুধু টিউসান ফিজ নেওয়া হতো তাহলে হয়তো এই সমস্যা তৈরিই হতো না। শীর্ষ আদালত অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলেছে, যে ১৪৫ টি স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের পরিকাঠামো ভিন্ন ভিন্ন ধরনের।
সব ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা একরকম নয়। সব স্কুলের ক্ষেত্রে ফিজ ছারের পরিমাণ একরকম হবে না। তাই সবার জন্য একই নির্দেশ জারী করা নিয়ম সম্মত নয়। সে কারণেই স্কুল ফিজ এর ব্যাপারে কমিটির মধ্যে অভিভাবকদের রেখে আলোচনা করতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ, আয়-ব্যায়ের হিসাব দেখতে স্কুল গুলিকপ কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটিতে প্রধান শিক্ষকসহ স্কুলের চারজন করে শিক্ষক থাকবেন। এছারা কমিটিতে তিনজন অভিভাবককে অবশ্যই রাখতে হবে। তবে মামলার সঙ্গে যুক্ত গার্জেন ফোরামের মধ্যে থেকেই অভিভাবক সদস্য নিতে হবে। এক্ষেত্রে স্কুলগুলির নিজের পছন্দ খাটবে না। এখন দেখার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে ১৪ ই সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট এ বিষয়ে কি রায় দেয়।