জেলা

বৈদ্যবাটি থেকে উদ্ধার হল বিষ্ণুর কাটা মুন্ডু।

অবশেষে বিশালকে নিয়ে বিষ্ণুর মাথার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। বৈদ্যবাটি বিঘাটির একটি নয়ানজুলি থেকে কাটা মুন্ডু উদ্ধার হল বিষ্ণু মালের। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

প্রসঙ্গত, সোমবারই চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের হাতে আসে বিষ্ণু মাল হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বিশাল দাস। গত ১০ই অক্টোবর। বাড়ির সামনে থেকেই অপহরণ করা হয় বছর ২৩এর বিষ্ণু মালকে। তদন্তে নেবে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট জানতে পারে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত চুঁচুড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস। তারপরেই শুরু হয় বিশালের খোঁজ। যদিও বিশাল ধরা না পড়লেও ধরা পড়ে বিশালের ৫ সাগরেদ। তারপর তাদের জেরা করেই বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হয় বিষ্ণুর মুন্ডহীন দেহ। এরপর বিশাল বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও দোসরা নভেম্বর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানা এলাকায় সাধারণ মানুষের হাতে ধরা পড়ে যায় । সোমবার তাকে বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে চুঁচুড়ায় নিয়ে আসে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের চুঁচুড়া থানার পুলিশ।

এরপর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই থাকে রাখা হয় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ লাইনে। এরপরই এই খবর ছড়িয়ে পড়তে বিষ্ণুর পরিবার সহ রায়ের বের এলাকার বহু মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে থাকে চুঁচুড়া জেলা আদালতের সামনে। এদিন তারা মূলত বিশাল এবং তার সাগরেদদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। চুঁচুড়া আদালতের পাশাপাশি এদিন তারা চুঁচুড়া থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। এদিন বিশালকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে মহামান্য আদালত তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার সকালেই বিশাল সহ ঘটনার সাথে যুক্ত মোট ৩ জনকে প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে বৈদ্যবাটি নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে দিল্লী রোডের পাশে স্থানীয় বালাজি মাঠের পাশে একটি নয়ানজুলিতে বিষ্ণুর মাথার খোঁজ শুরু করে পুলিশ। অবশেষে বৈদ্যবাটি এলাকার একটি নয়ানজুলিতে তার কাটা মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।

Loading

Leave a Reply