জেলা

ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করে ৪ যুগ পর গোঘাটের গ্রামে ঢুকলো বিদ্যুৎ।

আইনি জটিলতা কাটিয়ে প্রায় ৪১বছর পর ইলেকট্রিক পৌঁছাল গ্রামে। বহু মামলা-মোকদ্দমার পর অবশেষে বিদ্যুৎ পৌঁছানোয় খুশির হাওয়া গোঘাট পঞ্চায়েতের শুনিয়া গ্রামে। সোমবার পুলিশ ও বিদ্যুৎ দপ্তরে আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ করা হল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৯ সাল থেকে এই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ঘটানো নিয়ে ঘোষ পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। পূর্বপুরুষরা জায়গা নিয়ে সমস্যার কারণে আইনের আশ্রয় নেন। প্রথমে আরামবাগ মহকুমা আদালত ও পরে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু হয়। এমনকী কোর্টের নির্দেশ পরেও নাকি এই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ করা যায়নি বলেই খবর। ২০১৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি কোর্টের রায় নিয়ে সরাসরি হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের দ্বারস্থ হন রনজিত ঘোষরা। তারপরেও অবশ্য পরিস্থিতির বদল হয়নি। এই গ্রামে হাতেগোনা ২ থেকে ৩ টি পরিবারে ইলেকট্রিক সংযোগ থাকলেও বেশিরভাগ বাড়িই বিদ্যুৎহীন ছিল। স্বাভাবিকভাবেই সূর্য ডোবার সাথে সাথেই অন্ধকার নেমে আসতো এলাকায়। একইসাথে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল পড়ুয়াদের। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা প্রতিটি গ্রামে আলো জ্বললেও এই এলাকা অন্ধকারেই ঢেকে ছিল। একাধিকবার এ নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের দ্বারস্থ হন এলাকার মানুষ। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ঘটানো সম্ভব হয়নি। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই শক্তিপদ ঘোষ ও তার ভাইপোরা পরিকল্পনামাফিক এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলেই দাবি এলাকার বাসিন্দা রনজিত ঘোষের। তাঁর আরও দাবি বহু টালবাহানার পর সমস্ত রকম নিয়ম মেনে এদিন বিদ্যুৎ সংযোগ ঘটল গ্রামে। আলো জ্বললো বিদ্যুৎহীন থাকা বাড়িগুলিতে।

অন্যদিকে, শক্তিপদ ঘোষের ভাইপো সাধন ঘোষের পাল্টা দাবি, সমস্যা তৈরি করেছিলেন কার্তিক, রঞ্জিত, অভিজিৎ ঘোষ ও তার পরিবারের লোকজন। তাদের নামে মিথ্যা অপবাদ করছে। দু’পক্ষই অভিযোগ করেছিল আদালতে। আমরাও পারলে বিদ্যুৎ সংযোগ আটকে দিতে পারতাম, কিন্তু তা করিনি।

Loading

Leave a Reply