একের পর এক রেল দুর্ঘটনা এবার ঘন কুয়াশায় লাইনচ্যুত হয়ে ওড়িশার নেরগুণ্ডি স্টেশনের কাছে লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের পাঁচটি কামরা ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হলো। মোট ক্ষতিগ্রস্থ কামড়ার সংখ্যা আটটি বলে জানা গেছে। ঘটনায় জখম ৪০ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মালগাড়ির গার্ডভ্যানের ধাক্কায় বেলালাইন হয়ে যায় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিগুলি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ঘন কুয়াশার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে লাইনচ্যুত বগিগুলি না সরানোয় বিপর্যন্ত ট্রেন চলাচল।আজ সকাল সাতটা নাগাদ কটকের কাছে মালগাড়ির গার্ডভ্যানের ধাক্কায় বেলাইন হয় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিগুলি। সকালে আচমকা বিকট শব্দে চমকে ওঠেন স্থানীয়রা। রেলের নিরাপত্তরক্ষীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
স্থানীয় বাসিন্দারাও ছুটে এসে উদ্ধারকার্যে হাত লাগায়। জানা গিয়েছে, ৪০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ। ট্রেনটি মুম্বই থেকে ভুবনেশ্বর যাচ্ছিল। তার মাঝেই এই বিপত্তি। আপাতত দুর্ঘটনার জেরে এই রুটে ট্রেন চলালচ বিঘ্নিত।লাফিয়ে লাফিয়ে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ সেই হারে রেলের নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ছে না। বহু সিগন্যালে কোনও নিরাপত্তারক্ষী থাকে না। এমনকী লাইনগুলির দেখভালেও ত্রুটি থাকে। যার জেরে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।
প্রাণ হারাচ্ছেন বহু যাত্রী। এমনি রেলের বেসরকারিকরণ ও বর্তমানে রেল পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ আছে। তারপরে একের পর এক দুর্ঘটনা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। রেল বাজেটের আগে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা আবার প্রশ্নের মুখে ফেলল রেলকে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন এবার রেল পরিষেবা নিয়ে হয়তো দেশজুড়ে শুরু হবে রাজনৈতিক তরজা ।