একদিকে মাথায় টিউমার অপারেশন হচ্ছে। অপরদিকে বেহালা বাজিয়ে চলছেন রোগী। অপারেশন থিয়েটারের মধ্যেই ঘটে গেল পৃথিবীর এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। এমন ঘটনা এর আগে কখনও কেউ শুনেছে বা দেখেছে বলে মনে হয় না। এমনই ঘটনা ঘটল লন্ডনের কিংস হসপিটালে। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন আগে মাথায় টিউমার অপারেশন হওয়ার জন্য কিংস হসপিটালে ডাক্তার কিওমার্স অ্যাকশনের আন্ডারে ডগমাল টার্নার নামে ৫৩ বছর বয়সি এক প্রৌঢ় ভর্তি হন। জানা গেছে ১০ বছর বয়স থেকে বেহালাই তাঁর পরম বন্ধু।
অার সেই টার্নারের মাথায় বাসা বেঁধেছিল টিউমার। যে টিউমারটি মাথার এমন যায়গায় অবস্থান করছে যাতে করে সেই জায়গা থেকে বাঁ হাতের কাজ কর্ম নিয়ন্ত্রণ হয়। অার সেই যায়গায় টিউমার থাকার কারণে রোগী এবং চিকিৎসক দুজনেই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। পরমপ্রিয় বেহালা বাজানো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকায় রোগী প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলেন। আর সেজন্যই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অপারেশন টেবিলে রোগী বেহালা বাজাতে থাকবেন। অপারেশন শুরু হওয়ার দু’ঘণ্টা ধরে অবজারভেশন করেন চিকিৎসকরা।
যে জায়গায় টিউমারটি ছিল তাতে করে বেহালা বাজানো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারত। টার্নার এরপর একদিকে বেহালা বাজাতে থাকেন। অপরদিকে চিকিৎসকরা ব্রেন টিউমার অপারেশন করতে থাকেন। ৯০ শতাংশ সাকসেসফুল হয় অপারেশন। বিশিষ্ট ডাক্তার বলছেন, আমি বহু টিউমার অপারেশন করেছি জীবনে। কিন্তু এরকম কোনও বাদ্যযন্ত্র প্রেমীকে রোগী হিসেবে পাইনি। তাই আমি কোনওভাবেই চাইছিলাম না, যাতে রোগীর বেহালা বাজানো বন্ধ হয়ে যায়। আর সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় ডাক্তাররা। আরও জানানো হয়েছে যে ৯০শতাংশ সাকসেসফুল হয়েছে অপারেশন। তিন দিন পর ছুটি হয়েও গেছে টার্নারের। আর কিছুদিন পরেই তাঁর বাদ্যযন্ত্রের প্রদর্শন সকলে আবার মোহিত হতে শুরু করবেন। এখন দেখার কত দ্রুত টার্নার তাঁর শিল্পস্বত্বাকে উজ্জীবিত দর্শকের কাছে ফিরিয়ে আনেন।