ঋদি হক, ঢাকাঃ- কোথাও নেই ঈদের আমেজ। সর্বত্র এক অজানা ভয়। বাংলাদেশে যখন প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য হারে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ, এমন পরিস্থিতিতে সোমবার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলো সরকারী নিয়ম মেনে। বহুকাল পর এমনি পরিস্থিতিতে পৃথিবীর মুসলিম ধর্মাবলম্বি মানুষ ঈদ উযাপন করছেন। প্রতি বছর ঈদে আনন্দের বার্তা বয়ে আনলেও করোনা মহামারিতে এবারে তা উদাও। ফলে নিরানন্দ পরিবেশেই উদযাপিত হলো ঈদ।
ঈদের দিনেও করোনায় কেড়ে নিল ২১ প্রাণ। এতে মৃত্যু বেড়ে দাড়ালো ৫০১জনে। ৯৪৫১টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১৯৭৫ আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট আক্রান্ত সংখ্যা দাড়ালো ৩৫ হাজার ৫৮৫জন। এপর্যন্ত সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ৬,৯০১ জন। এ অবস্থায় সব্বাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।ঢাকার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহসহ দেশের কোথাও উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামায়াত হয়নি। সরকারী নিয়েষেধাজ্ঞা মেনে মসজিদেই স্বাস্থ্য মেনে জামাতে অংশ নিয়েছেন মুসল্লিরা। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এবারে ঈদের প্রধান জামাতসহ এক ঘন্টা পর পর ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশে ঈদের জামাতের পর কোলাকুলি আর স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মিলেমিশে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির রেওয়াজ থাকলেও এবারে সেই আনন্দ ফিকে।আগের দিন রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণেও বলেছেন, এবারে আমরা এক ভিন্ন আমেজে ঈদে অংশ নিচ্ছি। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতেই খোলা জায়গা ও ঈদগাহে জামাত নিষেধ করা হয়েছে। নিজ নিজ এলাকার মসজিদে স্বাস্থ্য মেনে সবাইকে জামাতে অংশ নিতে বলেন শেখ হাসিনা। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণীতে দেশবাসীর সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন