বিজ্ঞাপনের জগতে রূপসীরা বহু টাকা লুটে নিচ্ছে। এছাড়া কোম্পানিগুলো মানুষের সাথে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণার খেলা খেলছে বলে বারবার অভিযোগ উঠছে। যে যত প্রতারণা করতে পারবে সে তত লাভবান হবে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছে কম্পানিগুলো। এবার সেই লুটেরাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াল কেন্দ্র সরকার। ভুলভ্রান্তি সৃষ্টি করা ও মানুষদের মধ্যে বিভ্রান্তিকর প্রচার করা কোম্পানিগুলোকে জরিমানা এবং কর্তৃপক্ষের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিতে চলেছে। ভারত সরকার হাজার ১৯৫৪ এর ড্রাগস অ্যান্ড ম্যাজিক রিমেডি আইনকে পুনর্বার রিমডেলিং করছে।
সরকার একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করেছে যাতে এমনটাই বলা আছে, এবার থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্টকে ত্বকের সুভ্রতা বৃদ্ধি করতে বা বধিরতা, উচ্চতা বৃদ্ধি, চুল পড়া, স্থূলত ইত্যাদি কমাতে বিভ্রান্তিকর প্রচার করা হলে সেই কোম্পানি বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এমনকি সেই কোম্পানি বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং ৫ বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। প্রথমবার ভুল করলে দু বছরের জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এখন যে অাইনে বলা হয়েছে, প্রথমদিকে ভুল করলে কোনো জরিমানা দিতে হবে না কেবলমাত্র ছ’মাসের হাজত বাস। দ্বিতীয়বার ভুল করলে এক বছরের জেল ও তার সাথে জরিমানা করা হবে। আর সব থেকে বেশি শাস্তি হল ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং ৫ বছরের জেল।
এমনকী বর্তমানে কবজ মাদুলি এবং গাছের ওষুধপত্র ক্ষেত্রেও এই বিল আছে। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এই আইনটিকে সংশোধন করা হচ্ছে। যাতে পরবর্তী সময় এবং প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলা যায়। অর্থাৎ বেশ কিছু ভেষজ উদ্ভিদ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বিভিন্নভাবে মানুষের উপকার ঘটায়। সেই ধরনের কোন ব্যাপার থাকলে সেটির জন্য বিলটিতে কিছু সংশোধন আনা হবে। অপরদিকে ৪৫ দিনের জন্য জনগণ এবং স্টকহোল্ডারদের মতামত নিয়ে বিলটি জনসমক্ষে আসবে বলে জানা গেছে। এই বিজ্ঞাপনগুলি যা কিছু ভাবে ব্যবহার হোক তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলেই গণ্য হবে। যেমন টেলিভিশনের মাধ্যমে, বিজ্ঞাপন, আলো, শব্দ, ধোঁয়া, গ্যাস, নোটিস বোর্ড, লেবেল, ব্যানার, অডিও ভিজুয়াল সমস্ত ক্ষেত্রেই এই আইন জারি হবে বলে জানা গেছে। সুতরাং এক কথায় বলতেই হয় জাগো গ্রহক জাগো।