দেশ

ভেঙে যেতে চলেছে দীর্ঘ ৭০ বছরের সম্পর্ক। এর ফল কি পড়বে দেশের অর্থনীতিতে? জল্পনা দেশজুড়ে।

দেশের দুই বৃহৎ ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইটা বেশ কিছুদিন ধরে চলছিল। পারস্পরিক তিক্ততার কথা অনেক আগেই প্রকাশ্যে আসে। তার পরেও মনে হয়েছিল 70 বছরের পুরনো সম্পর্ক টিকে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর তা হলো না। শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠীক সঙ্গে টাটাদের ৭০ বছরের সম্পর্কের ছেদ পড়া নিশ্চিত হয়ে গেল। সাইরাস মিস্ত্রির পরিবার গত সপ্তাহেই পাল্টা নোটিস পাঠিয়েছিল  টাটা সন্সের কাছে। শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠীকে টাকা তোলায় বেআইনিভাবে ভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে টাটা সন্সের পরিচালনা পর্ষদের কাছে নোটিস পাঠিয়েছিল। টাটা সন্সের ১৮.৩৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে মিস্ত্রি পরিবারে হাতে। করোনা পরিস্থিতি ওই শেয়ার বন্ধক রেখে টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছিলেন মিস্ত্রিরা। আর তা আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে টাটার।

এর পরেই টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করল মিস্ত্রি পরিবার৷ সংখ্যালঘু শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে মিস্ত্রি পরিবারেরই টাটা গোষ্ঠীতে সবথেকে বেশি অংশীদারিত্ব ছিল৷সুপ্রিম কোর্টে টাটা সন্স-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, মিস্ত্রি পরিবারের হাতে থাকা ১৮ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়ে তারা আর্থিক সঙ্কটে পড়া শাপুরজি-পালনজি গ্রুপকে ঋণ পরিশোধে সাহায্য করতে তৈরি৷ যদিও মিস্ত্রি পরিবার চেয়েছিল, তাদের হাতে থাকা টাটাদের শেয়ার বাজারে ছেড়ে তার বিনিময়ে মূলধন জোগাড় করতে৷  এই ব্যাপারে শাপুরজি কোম্পানির তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শাপুরজি পালনজি এবং টাটার সম্পর্ক ৭০ বছরের পুরনো। পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু আজ শাপুরজি পালনজি গ্রুপ সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দিয়েছে, টাটার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। নইলে এই যে অনন্ত মামলা মোকদ্দমা শুরু হয়েছে তা জীবিকা ও অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। সব মিলিয়ে দেশের অন্যতম দুই ব্যবসায়ীক গোষ্ঠীর দীর্ঘ সাত দশকের সম্পর্ক শেষ হওয়ার পথে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে কোন প্রভাব পড়ে কিনা সেটাই এখন দেখার।

Loading

Leave a Reply